জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে দল থেকে বহিষ্কৃত বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতাকে স্বপদে বহালের নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালত।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ মো. নুরুল ইসলাম এই আদেশ দেন। জাতীয় পার্টির দপ্তর সম্পাদক এম এ রাজ্জাক খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আদালত একে অপরের পরিপূরক আদেশও দিয়েছেন। যার মধ্যে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এবং অন্যান্য প্রেসিডিয়াম সদস্যের বহিষ্কারাদেশে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেছে। এ ছাড়া তাদের স্বপদে বহাল থাকার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত নেতাদের মধ্যে আরও রয়েছেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য সোলাইমান আলম শেঠ, জহিরুল ইসলাম জহির, নাজমা আক্তার, মোস্তফা আল মাহমুদ, আরিফুল রহমান, নাসির উদ্দিন মাহমুদ, জসিম উদ্দীন জসিম এবং এম এ রাজ্জাক খান।
জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, এটি একটি ঐতিহাসিক রায়। আদালত প্রমাণ করেছে, আইন ও ন্যায্যবিচার এখনো জীবিত। এই রায় দলীয় গঠনতন্ত্র এবং গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় পার্টি কখনো একক ব্যক্তির মালিকানাধীন নয়। এটি লাখো মানুষের রাজনৈতিক আশা-আকাঙ্ক্ষার প্ল্যাটফর্ম। আজ আদালতের রায় আবারও জাতীয় পার্টিকে গণতন্ত্রের পথে ফিরিয়ে আনল।
হাওলাদার ঘোষণা দেন, এখন আমরা পার্টির সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের নিয়ে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলব। পল্লীবন্ধু এরশাদের স্বপ্নের জাতীয় পার্টি গড়ে তুলতে কাজ করব।
আপনার মতামত লিখুন :