আজকের দিনটি ঐতিহাসিক। পৃথিবীর ইতিহাসে শেখ হাসিনার মতো কোনো স্বৈরাচারের জন্ম হয়নি। তিনি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মিথ্যাবাদী স্বৈরাচার বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
রোববার (৩ আগস্ট) ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরুর আগে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, কোনো স্বৈরাচারকে মিথ্যার ওপর পিএইচডি করতে হলে শেখ হাসিনার কাছে শিখতে হবে। পৃথিবীর সব স্বৈরশাসকের যদি কোনো সমিতি করা হয়, শেখ হাসিনা হবেন তার সভাপতি। বাংলাদেশের ভবিষ্যতের স্বার্থে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বার্থে স্বৈরাচার ও তার সহযোগীদের সর্বোচ্চ শাস্তি আমরা চাই। এ সময় অ্যাটর্নি জেনারেল পৃথিবীর কোন স্বৈরাচারের কি পরিণতি হয়েছে, তা আদালতের সামনে তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের আগামীর জন্য এমনভাবে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হবে; যাতে ভবিষ্যতে এখানে আর খুনের রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত হতে না পারে।
ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালে প্রথমে সূচনা বক্তব্য দিচ্ছেন চিফ প্রসিকিউটর। যা বিটিভির মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে।
ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহাম্মদ মোহিতুল হক।
এই মামলায় শেখ হাসিনা ছাড়া অন্য দুই আসামিরা হলেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। এর মধ্যে সম্পূর্ণ সত্য প্রকাশ করার শর্তে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের রাজসাক্ষী হওয়ার আবেদন গ্রহণ করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞের অভিযোগে পুনর্গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এ পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে। এসব অভিযোগের মধ্যে শেখ হাসিনাসহ চারটি মামলার বিচার আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। তদন্ত চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে আওয়ামী লীগের গ্রেপ্তারকৃত শীর্ষ ১৭ নেতা, ওবায়দুল কাদেরসহ আরও ছয়টি মামলার।
প্রসিকিউশন জানিয়েছে, শেখ হাসিনার সর্বশেষ জানা ঠিকানায় ওয়ারেন্ট পাঠানো হয়েছে। তবে তিনি অনুপস্থিত থাকায় আন্তর্জাতিক আইনের ধারাবাহিকতায় বিচার চলবে একতরফাভাবে।
এই মামলায় সাক্ষ্য দেবেন আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, গবেষক বদরুদ্দীন উমর, অবসরপ্রাপ্ত লে. কর্নেল হাসিনুর রহমান, নাহিদ ইসলাম, উমামা ফাতেমাসহ ‘জুলাই আন্দোলন’-এ আহত ও নিহতদের পরিবারের সদস্যরা।