রাজধানীর পল্লবীতে পুলিশি হেফাজতে নির্যাতনে গাড়িচালক ইশতিয়াক হোসেন জনির মৃত্যুর ঘটনায় বিচারিক আদালতের দেওয়া দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আসামিদের করা আপিলের রায় ঘোষণা হবে আজ।
রোববার (১০ আগস্ট) বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করবেন।
এর আগে ৭ আগস্ট আপিলের শুনানি শেষে এ দিন নির্ধারণ করা হয়।
আসামিপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন সিনিয়র আইনজীবী এস এম শাহজাহান, সরওয়ার আহমেদ, মো. আবদুর রাজ্জাক ও নাজমুল করিম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বদিউজ্জামান তপাদার। বাদীপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এস এম রেজাউল করিম।
২০১৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় পল্লবীর ১১ নম্বর সেকশনের ইরানি ক্যাম্পে একটি গায়েহলুদের অনুষ্ঠানে পুলিশের সোর্স সুমন নারীদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন। এ সময় ইশতিয়াক ও তার ভাই ইমতিয়াজ আপত্তি জানালে সুমনের ডাকে পুলিশ এসে দুই ভাইকে থানায় নিয়ে যায় এবং নির্যাতন করে।
অবস্থা গুরুতর হলে ইশতিয়াককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়, যেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরদিন ৭ আগস্ট ইমতিয়াজ হোসেন মামলা দায়ের করেন। এটি ছিল ২০১৩ সালে প্রণীত নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন অনুযায়ী প্রথম মামলা।
বিচারিক আদালতের রায়, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড: এসআই জাহিদুর রহমান, এএসআই রাশেদুল হাসান, এএসআই কামরুজ্জামান। জরিমানা: প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা এবং ভুক্তভোগীর পরিবারকে ২ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ। ৭ বছরের কারাদণ্ড: পুলিশের সোর্স সুমন ও রাসেল (জরিমানা ২০ হাজার টাকা করে)। দণ্ডিতদের মধ্যে কামরুজ্জামান শুরু থেকেই পলাতক, আর সুমন সাজা ভোগ করে মুক্তি পেয়েছেন।
২০২০ সালে দণ্ডিত জাহিদুর, রাশেদুল ও রাসেল হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০২১ সালে তা শুনানির জন্য গ্রহণ করা হয়। গত ৯ জুলাই আপিল শুনানি শুরু হয় এবং ৭ আগস্ট শুনানি শেষে ১০ আগস্ট রায় ঘোষণার দিন ধার্য করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :