বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: আগস্ট ২৮, ২০২৫, ০৩:১৭ পিএম

আবু সাঈদ হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিলেন বাবা মকবুল

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: আগস্ট ২৮, ২০২৫, ০৩:১৭ পিএম

ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তার বাবা মকবুল হোসেন সাক্ষ্য দিয়েছেন। আদালতে দাঁড়িয়ে কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আমার ছেলের বুকজুড়ে ছিল অসংখ্য গুলির দাগ। ওকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে।’

বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ তার সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।

সাক্ষ্যদানকালে তিনি বলেন, বেঁচে থাকতে চাইতাম ছেলের চাকরি হতে দেখব। সেটা আর হলো না। এখন শুধু চাই, যারা আমার ছেলেকে মেরেছে, তাদের বিচার যেন দেখি।

মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ হবে আগামী সপ্তাহে। আদালত সূত্রে জানা গেছে, এ মামলায় আরও বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী রয়েছেন, যাদের জবানবন্দির অপেক্ষায় রয়েছে ট্রাইব্যুনাল। শহীদ আবু সাঈদের পরিবারের দাবি, এই বিচার যেন দ্রুত ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন হয়।

এর আগে, বুধবার প্রধান কৌঁসুলি মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের সূচনা বক্তব্যের মাধ্যমে আবু সাঈদ হত্যার আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ শুরু হয়। এরপর আবু সাঈদকে গুলি করার দুটি ভিডিও ট্রাইব্যুনালে প্রদর্শন করা হয়। পরে ট্রাইব্যুনাল আজ বৃহস্পতিবার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন।

বেরোবির ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন শহীদ আবু সাঈদ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৬ জুলাই দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পার্ক মোড়ে আবু সাঈদ গুলিবিদ্ধ হন। তার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে আন্দোলন আরও তীব্র হয়।

একপর্যায়ে সেটি সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ নেয়। রক্তক্ষয়ী সেই আন্দোলনে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে।
এই হত্যাকাণ্ডের পর শহীদ আবু সাঈদের পরিবারের সদস্যরা গত ১৩ জানুয়ারি ২৫ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দেন। তারপর তদন্ত শুরু হয়।

গত ২৪ জুন চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে আবু সাঈদ হত্যা মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (তদন্ত প্রতিবেদন) জমা দেয় ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। গত ৩০ জুন তা আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। পরে গত ৬ জুলাই মামলার ‘আনুষ্ঠানিক অভিযোগ’ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেওয়া হয়। সেই ধারাবাহিকতায় গতকাল বুধবার এই মামলায় সূচনা বক্তব্যে দেন চিফ প্রসিকিউটর।

জানা গেছে, এই মামলার ৩০ জন আসামির ২৪ জনই পলাতক।

গতকাল (২৭ আগস্ট) গ্রেপ্তার ছয়জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। তারা হলেন- বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রোক্টর শরিফুল ইসলাম, সাবেক সহকারী রেজিস্ট্রার রাফিউল হাসান রাসেল, রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের চুক্তিভিত্তিক সাবেক কর্মচারী মো. আনোয়ার পারভেজ, পুলিশের সাবেক সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আমির হোসেন, সাবেক কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় এবং নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা ইমরান চৌধুরী ওরফে আকাশ।

Link copied!