শুক্রবার, ০২ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


এনামুল হক

প্রকাশিত: আগস্ট ১১, ২০২৪, ০৯:৪২ পিএম

ট্রাফিকের দায়িত্বে শিক্ষার্থীরা অনেকেই আইন মানতে চায় না

এনামুল হক

প্রকাশিত: আগস্ট ১১, ২০২৪, ০৯:৪২ পিএম

ট্রাফিকের দায়িত্বে শিক্ষার্থীরা অনেকেই আইন মানতে চায় না

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরকার পতনের পর তোপের মুখে পড়ে পুলিশ বাহিনী। কিছু সুবিধাভোগী দুর্নীতিগ্রস্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের বিভিন্ন অপকর্মের দায় চেপে বসে গোটা পুলিশ বাহিনীর উপর। ফলে দুষ্কৃতিকারীরা দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ থানা এবং ফাঁড়িগুলোতে ভাঙচুর লুটপাট ও অগ্নি সংযোগ করে। এতে বন্ধ হয়ে যায় পুলিশের সকল কার্যক্রম; ব্যহত হয় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি। 

এই অবস্থায় দেশের সড়কে যান চলাচল সচল রাখতে কাজ করে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। রাজধানীর প্রতিটি সড়কেই নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে সাত বছরের স্কুল পড়ুয়া শিশু থেকে শুরু করে কলেজ, ইউনিভার্সিটির অসংখ্য শিক্ষার্থী। এদিকে দেশ ও দেশের জনগণের জন্য স্বেচ্ছায় ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অনেক সময় শারীরিক ও মানসিক হেনস্তার শিকার হচ্ছে বলে জানায় শিক্ষার্থীরা।

পথচারীদের চলাচলের জন্য ফুটপাত; রাস্তা পারাপারের জন্য ফুটওভার ব্রিজ কিংবা জেব্রা ক্রসিং ব্যবহারের জন্য বললে অনেকেই মানতে নারাজ শিক্ষার্থীদের কথা। অনেকেই আইন না মেনে যে যার মত করে চলাচল করছে। কেউ রিকশা নিয়ে উল্টো পথে চলছে; কেউ হেলমেট ছাড়া মোটর সাইকেল চালাচ্ছে; কেউ নো পার্কিংয়ে গাড়ি রাখছে এবং কেউ নির্দিষ্ট স্টপেজে থামতে চাচ্ছে না।  কেউবা আবার মানতে নারাজ সারিবদ্ধভাবে লেন ব্যবহার করে চলতে। এমন অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।  

এবিষয়ে শিক্ষার্থীরা সঠিক ও আইন মেনে চলার পরামর্শ দিলে শুরু হয় বিপত্তি। কারো ব্যস্ততার অজুহাত, কারো কাছাকাছি বাসা, আবার কেউ নিজেকে সচেতন নাগরিক দাবি তুলে শুরু করে বিভিন্ন যুক্তিতর্ক। 

শিক্ষার্থীরা বলছে, নির্দিষ্ট স্থানে যাত্রী ওঠানো নামানো; চলাচলের সময় গেট লক রাখা; তাদের নির্দিষ্ট লেন ব্যবহার করে চলা- এসব আইন মানা উচিত সবারই। কিন্তু শিক্ষার্থীদের বলা সড়ক পরিবহনের আইনের কথা তাদের কান পযন্ত অনেক সময় ড্রাইভার-হেলপারদের কানে পৌছায় না। 

বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও ছোট বড় অনেক কোম্পানি শিক্ষার্থীদের এই উদ্যোগে তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। তারা গাড়িতে করে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে ঘুরে ঘুরে শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দিচ্ছে। কেউবা বিভিন্ন রকমের গিফটের প্যাকেট শিক্ষার্থীদের হাতে হাতে তুলে দিচ্ছে। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে  ট্রাফিকের দায়িত্ব নেয়া শিক্ষার্থীরা বেশিরভাগ জনতার সহযোগিতা ও উৎসাহ পাচ্ছে।
 

আরবি/জেডআর

Link copied!