স্বর্ণের মূর্তি বিক্রির প্রলোভনে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে বগুড়ার শেরপুরে তিন প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাত সাড়ে ৯টায় শেরপুর থানা-পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মো. খোরশেদ আলম ওরফে খুশি (৫৪), মো. আবুল কালাম (৫০) ও মো. ইদ্রিস আলী (৫৫)। তিনজনেই বগুড়ার শেরপুর উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নের সগুনা গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, যশোর জেলার বাঘারপাড়া থানার দৌলতপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. আছাদুজ্জামান মোল্যা (৫৮) সম্প্রতি পাবনার পাকশীতে একটি ওরশ মাহফিলে অংশ নেন। সেখানে তার সঙ্গে খোরশেদ আলমের পরিচয় হয়।
একপর্যায়ে আসামি খোরশেদ তাকে জানান, পুকুর খননের সময় তার এক আত্মীয় একটি স্বর্ণের মূর্তি পেয়েছেন। যার ওজন প্রায় ৫০০ গ্রাম। বিষয়টি গোপন রাখতে মূর্তিটি পরিচিত একজনের মাধ্যমে বিক্রি করতে চান।
পাঁচ লাখ টাকায় বিক্রির চুক্তি হলে বাদী আছাদুজ্জামান ১৫ মে বিকেলে দুই লাখ টাকা নিয়ে খোরশেদের বাড়িতে যান। সেখানে তাকে স্বর্ণের মতো মূর্তি দেখানো হয় এবং পরে হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু পরদিন স্থানীয় স্বর্ণকার দিয়ে পরীক্ষা করলে জানা যায়, এটি পিতলের তৈরি। পরবর্তীতে বাদী শেরপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করেন।
শেরপুর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘দেখতে স্বর্ণের মতো একটি দুই খণ্ডের ধাতব মূর্তি জব্দ করা হয়েছে। পরে পরীক্ষা করে পিতলের বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।’
তিনি বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃতরা একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে’ বলে জানান তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :