শনিবার, ০৫ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জুলাই ৫, ২০২৫, ০৯:২৪ এএম

দশমিনায় ব্রিজ-সড়ক দখল করে দোকান, ভোগান্তিতে মানুষ

দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জুলাই ৫, ২০২৫, ০৯:২৪ এএম

দশমিনায় ব্যস্ততম ব্রিজ ও সংযোগ সড়ক দখল করে গড়ে উঠেছে শতাধিক ভাসমান দোকান। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

দশমিনায় ব্যস্ততম ব্রিজ ও সংযোগ সড়ক দখল করে গড়ে উঠেছে শতাধিক ভাসমান দোকান। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

পটুয়াখালীর দশমিনায় ব্যস্ততম ব্রিজ ও সংযোগ সড়ক দখল করে গড়ে উঠেছে শতাধিক ভাসমান দোকান। প্রশাসনের একাধিকবার উচ্ছেদ অভিযান চালানো হলেও চলছে ইজারাদারদের সহযোগিতায় রমরমা ব্যবসা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন পথচারী, বিদ্যালয়গামী শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ।

শনিবার (৫ জুলাই) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিদিনের ন্যায় ওই ব্রিজের ওপর ছাউনি দিয়ে নানা ধরনের সবজি, আমা, কাঁঠাল, পাদুকা, হাঁসের বাচ্চা নিয়ে দোকান সাজিয়ে বসে আছে কিছু স্থায়ী ব্যবসায়ী। এতে করে এইচএসসি, কারিগরি বোর্ড পরীক্ষা শেষে গার্ডার ব্রিজসহ ওই এলাকায় দীর্ঘ যানজট লেগে থাকে। বিশেষ করে সকালে সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরু ও শেষে এবং বিকেলে এইচএসসি ও কারিগরি পরীক্ষা শুরু ও শেষের দিকে যানজটের কারণে শিক্ষার্থী ও অভিভাবক দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। ব্রিজের ওপর ও অ্যাপ্রোসে দোকান থাকায় ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছেন পরীক্ষার্থীসহ সাধারণ জনগণ। 

স্থানীয় এক দোকান মালিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘ব্রিজ ও সড়কের দুই পাশে প্রায় ৫০ থেকে ৬০টি ভাসমান দোকান রয়েছে। ব্যবসা হোক বা না হোক, প্রতিদিনই ইজারাদারদের ৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত দিতে হয়।’

স্থানীয় বাজার ব্যবসায়ী ডা. গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘সরকার বা উপজেলা প্রশাসন ব্রিজ বা রাস্তায় দোকান বসানোর জন্য কোনো ইজারা দেয়নি। ইজারাদাররা নিজেরাই অবৈধভাবে দোকান বসিয়ে অর্থ আদায় করছে। এতে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের ভোগান্তি চরমে উঠেছে।’

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মেরি সুলতানা বলেন, ‘বিদ্যালয়ের সামনে রিকশা-ভ্যানের সারি লেগে থাকে। বারবার নিষেধ করলেও তারা সরায় না। এতে ছাত্র-ছাত্রীদের বিদ্যালয়ে আসতে চরম সমস্যা হয়। প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।’

সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সালাহ উদ্দিন সৈকত বলেন, ‘বিদ্যালয় শুরুর সময় ও ছুটির সময় ব্যাপক যানজট হয়। রোদের মধ্যে শিক্ষার্থীরা দাঁড়িয়ে থাকে, আবার বৃষ্টিতে ভিজে কষ্ট পায়। আমরা চাই, দোকানগুলো নির্দিষ্ট জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হোক।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইরতিজা হাসান বলেন, ‘অবৈধ দোকান উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করা হবে। যারা অবৈধভাবে দোকান বসিয়েছে বা এতে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

জনসাধারণের দাবি, বারবার প্রশাসনিক নির্দেশনা উপেক্ষা করেও যারা ব্রিজ ও সড়ক দখল করে চলেছে, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হোক এবং জনদুর্ভোগ লাঘব করা হোক।
 

Shera Lather
Link copied!