শুক্রবার, ০২ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩১, ২০২৪, ০৭:২৭ পিএম

হেফাজতে ইসলামের বিবৃতি

ঢাকায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের অফিস খুলতে দেওয়া যাবে না

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩১, ২০২৪, ০৭:২৭ পিএম

ঢাকায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের অফিস খুলতে দেওয়া যাবে না

ফাইল ছবি

ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের (ইউএনএইচসিআর) অফিস খুলতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমান।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে তারা এসব কথা বলেন।

হেফাজত নেতারা বলেন, দেশে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার আমলজুড়ে অজস্র মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছিল। গুম-খুন ছাড়াও বিশেষত বিডিআর হত্যা, ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরের গণহত্যার পরেও নির্বিঘ্নে স্বৈরাচারী শাসন কায়েম রাখতে পেরেছিল হাসিনা। পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ থাকা সত্ত্বেও হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে কোনো উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিতে পারেনি জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন।

ধর্মীয় এই সংগঠনের নেতাদের দাবি, উল্টো গত বছরের নভেম্বরে জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দুর্নীতিগ্রস্ত কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে সমস্ত প্রতিবাদ উপেক্ষা করে নিয়োগ দেয়া হয়। তাই এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন কাগুজে মানবাধিকার সংস্থার অফিস ঢাকায় হোক তা দেশের জনগণ চায় না।

তারা আরো বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার পলিসিতে এলজিবিটিকিউ তথা সমকামীদের অধিকারের বিষয়টি অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত। কিন্তু বাংলাদেশ মুসলিম-অধ্যুষিত রাষ্ট্র হওয়ায় এদেশে সমকামিতা শুধু ধর্মীয় ও সামাজিকভাবে নিষিদ্ধই নয়, রাষ্ট্রীয় আইনেও দণ্ডনীয় অপরাধ। এছাড়াও উত্তরাধিকার সম্পত্তি বণ্টনে তাদের নারী-পুরুষ সমানাধিকার ও সর্বজনীন যৌনশিক্ষার ইস্যুগুলো ইসলামের সাথে সরাসরি সাংঘর্ষিক।

পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে খ্রিস্টান রাজ্য বানানোর আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রও উদ্বেগের বিষয় বলে উল্লেখ করে হেফাজতের শীর্ষ এই দুই নেতা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামকে সন্ত্রাসীরা পার্বত্য চট্টগ্রামে যে সন্ত্রাসবাদ, অশান্তির দাবানল সৃষ্টি করেছে, তা রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল। এমনকি পার্বত্য চট্টগ্রামে ৩৮ হাজার বাঙালি হত্যার দায় ও সব ঘটনার দায় অবশ্যই সন্ত্রাসীদের নিতে হবে। 

কিন্তু জাতিসংঘ তাদের ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ না নিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে সন্ত্রাসীদের পক্ষে বক্তব্য বিবৃতি দিয়েছে বলে দাবি করেন তারা।

তারা বিবৃতিতে বলেন, ফলে ঢাকায় তাদের অফিস খুলতে দেয়ার সিদ্ধান্ত চরম আত্মঘাতী হবে। নতুন করে বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা তৈরি হোক এবং তাতে অন্তর্বর্তী সরকার আরো দুর্বল হয়ে পড়ুক তা আমরা চাই না। 

তারা আরও বলেন, আমরা পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদীদের নিয়ন্ত্রণাধীন জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের অফিস এদেশে খুলতে দেয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি জোর আহ্বান জানাচ্ছি। গত কয়েক যুগ ধরে একের পর এক মুসলিম দেশে রুশ ও মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের নেতৃত্বে বোমাবর্ষণ, গণহত্যা, আগ্রাসন, লুটপাট ও নজিরবিহীন মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে। অথচ জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ সেসবের কিছুই ঠেকাতে পারেনি। 

দশকের পর দশক বিনা বাধায় ফিলিস্তিনে ইসরাইলের গণহত্যা ও দখলবাজি চলমান এবং কাশ্মিরে ভারত কর্তৃক মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়মিত ঘটনা বলে উল্লেখ করে হেফাজত নেতারা বলেন, এমনকি সাম্রাজ্যবাদীদের আগ্রাসনকবলিত ইরাক, সিরিয়া, ইয়েমেন, লিবিয়া ও লেবাননসহ অসংখ্য মুসলিম দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধে কোনো দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতেও চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে সংস্থাটি। তাই দেশের স্বার্থে মুসলিম জনগোষ্ঠীর সভ্যতা সংস্কৃতি অক্ষুণ্ন রাখার জন্য জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের অফিস খুলতে দেয়া যাবে না।

আরবি/ এইচএম

Link copied!