ঈদ উদযাপন শেষে ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। তবে এখনো ছুটি শেষ না হওয়ায় ফিরতি যাত্রায় তেমন ভিড় নেই। ট্রেন নির্ধারিত সময়ে চলায় যাত্রীরা স্বস্তির কথা জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, ঈদের তৃতীয় দিনেও অনেকে ঢাকা থেকে গ্রামের পথে রওনা হচ্ছেন। কেউ ঈদের ছুটিতে যেতে পারেননি, আবার কেউ বিশেষ কারণে দেরিতে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছেন।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার (২ এপ্রিল) ভোর থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ঢাকায় এসেছে আটটি আন্তঃনগর ট্রেন। সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে গেছে ১৯টি ট্রেন, যার মধ্যে ১৫টি আন্তঃনগর ও চারটি কমিউটার ট্রেন।
রাজশাহী থেকে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে ঢাকায় ফেরা আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘ছুটি শেষ না হলেও আগেই চলে এলাম। পরে ভিড় বাড়বে, তাই আগে টিকিট কেটে রেখেছিলাম। নিরিবিলি যাত্রা করতে পেরে ভালো লাগছে।’
চাটমোহর থেকে সিল্কসিটি ট্রেনে আসা শাহীন আলম বলেন, ‘ট্রেন ঠিক সময়েই এসেছে, কোনো ভিড় নেই। সবসময় এমন যাত্রা হলে ভাড়া বেশি হলেও সমস্যা নেই।’
এদিকে, ঈদের ছুটি শেষে অনেকেই গ্রামে ফিরছেন। পোশাকশিল্পের বিক্রয়কর্মী আসমা আক্তার ঈদের আগের দিনও কাজে ব্যস্ত থাকায় পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে পারেননি। এক সপ্তাহের ছুটি পেয়ে এখন গ্রামের পথে রওনা হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকায় সহকর্মীদের সঙ্গে ঈদ করেছি। এবার পরিবারের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করতে গ্রামে যাচ্ছি।’
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার শাহাদাত হোসেন জানান, ‘এবারের ঈদযাত্রা ছিল ভোগান্তিহীন, ফিরতি যাত্রাও স্বস্তিদায়ক হবে বলে আশা করছি। যাত্রীদের নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে রেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিরলসভাবে কাজ করছেন।’
তিনি আরও বলেন, এখনো ফিরতি যাত্রায় তেমন ভিড় নেই এবং ট্রেনগুলো সময়মতো চলছে। টিকিট ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না, ফলে ঠেলাঠেলি বা অতিরিক্ত ভিড়ের সমস্যা নেই।

-20250403031125.webp)

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন