কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, ভয়ের কোনো কারণ নেই, আমাদের সীমান্ত সম্পূর্ণ নিরাপদ রয়েছে। এখানে কোনো ধরনের সমস্যা নেই। কৃষকরা ভালোভাবে ধান কাটতে পারবেন।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) দুপুরে দিনাজপুরের বিরল উপজেলার মোখলেসপুর ইউনিয়নে বোরো ধান কর্তন উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, যখন আমাদের সাড়ে ৭ কোটি মানুষ ছিল, সেই সময় কৃষি জমির সংখ্যা বেশি ছিল। কিন্তু এখন লোকসংখ্যা ১৮ কোটি, কৃষি জমি কমে গেছে। উন্নত জাত এবং কৃষি বিজ্ঞানীদের কঠোর পরিশ্রমের কারণে উৎপাদন ভালো হয়।
তিনি বলেন, কৃষকরা যেন ন্যায্যমূল্য পান আর উৎপাদন খরচ যেন কমনো যায়, সেই ব্যবস্থা করতে হবে। আর উপরে যারা চাকরি করে, দুর্নীতি কমাতে হবে। কৃষিজমি যাতে কমে না যায়, সে জন্য নতুনভাবে আইন করা হবে। ভূমি ব্যবহার নীতিমালা, কৃষিজমি সুরক্ষা আইন করা হবে কিছুদিনের মধ্যেই।
পরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কৃষকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় অংশ নেন।
এ সময় তিনি বলেন, লিচুতে অনেক সময় বেশি কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। যেটা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। এ বিষয়ে কৃষি বিভাগের সঙ্গে পরামর্শ করে কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে।
কৃষকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, লিচু যখন পেকে যাবে, তখন আপনারা কীটনাশক প্রয়োগ করবেন না। এটা মানুষের জন্য চরম ক্ষতিকর।
কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে উঠান বৈঠক করার নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, উঠান বৈঠকের জন্য অনেক টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। উঠান বৈঠকের টাকা পকেটে ঢুকাবেন না।
বরেন্দ্র কর্তৃপক্ষ যেন পানির বিল কমিয়ে নেয়, সে জন্য বরেন্দ্র চেয়ারম্যানকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তিন।
উপদেষ্টা বলেন, কৃষিভিত্তিক কিছু শিল্পকারখানা হয়েছিল। কিন্তু টেকানো যায়নি। ওই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান সাহেবেরা লোন নিয়ে টাকা–পয়সাসহ পালিয়ে গেছেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কৃষিসচিব এমদাদুল্লাহ মিয়ান, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার শহিদুল ইসলাম, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন প্রকল্পের চেয়ারম্যান ড. এম আসাদুজ্জামান, ব্যস্থাপনা পরিচালক তরিকুল আলমত, প্রকল্প পরিচালক মোজাফ্ফর হোসেন প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন :