কুমিল্লার মুরাদনগরের নারীকে ধর্ষণ ও নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় পর্নোগ্রাফি এবং নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলায় গ্রেপ্তার অভিযুক্ত ৪ আসামিকে ৩ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১১ নম্বর আমলি আদালতে মামলার শুনানি শেষে আসামিদের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন বিচারক। এর আগে গত মঙ্গলবার আদালতে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিলেন মুরাদনগর থানা পুলিশ।
সুমন নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের সভাপতি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
পর্নোগ্রাফি আইনের মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া অন্য আসামিরা হলেন- উপজেলার বাহেরচর গ্রামের রমজান আলী, মো. অনিক ও মো. আরিফ।
এ ছাড়া ধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ফজর আলী বর্তমানে পুলিশ পাহারায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মুরাদনগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রুহুল আমিন এসব তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে গত সোমবার ওই চার আসামির সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে কুমিল্লা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মমিনুল হকের আদালতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রুহুল আমিন।
তিনি বলেন, ‘রোববার বিকেলে মুরাদনগর থানায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে ওই চারজনের নামে মামলা করা হয়। সোমবার বিকেলে তাদের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। বিচারক রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেছেন আজ বৃহস্পতিবার।’
পুলিশ জানায়, ২৬ জুন রাতে মুরাদনগরের একটি গ্রামে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে ফজর আলী নামের এক ব্যক্তি আটক ও পিটুনির শিকার হন। পরে ফজর আলীকে সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনাস্থলে থাকা কয়েকজন ভুক্তভোগী নারীর ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।
এ ঘটনায় শুক্রবার (২৭ জুন) মূল অভিযুক্ত ফজর আলীকে আসামি করে মুরাদনগর থানায় ধর্ষণ মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী। এরপর অভিযানে নেমে ফজর আলীসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পরে রোববার (২৯ জুন) বিকেলে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন সভাপতি মোহাম্মদ আলী সুমন ও তার তিন সহযোগীসহ মোট চারজনের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মুরাদনগর থানায় পৃথক একটি মামলা করেন। সন্ধ্যায় তাদের কুমিল্লা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে বিচারক মোমিনুল ইসলাম তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আপনার মতামত লিখুন :