মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: মে ১৩, ২০২৫, ০৭:৩৮ এএম

‘জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশে কোনো গণহত্যা হয়নি’

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: মে ১৩, ২০২৫, ০৭:৩৮ এএম

‘জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশে কোনো গণহত্যা হয়নি’

চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

গত বছরের জুলাই-আগস্টে দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত সহিংসতায় সহস্রাধিক মানুষের মৃত্যুর ঘটনায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। তদন্ত প্রতিবেদনে শেখ হাসিনাকে ‘মূল পরিকল্পনাকারী, নির্দেশদাতা ও সর্বোচ্চ দায়িত্বশীল’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, এই প্রথমবারের মতো শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এমন মামলায় তদন্ত শেষ হয়েছে। তার সঙ্গে অভিযুক্ত হয়েছেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।

তদন্তের ভিত্তিতে আগামী দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হবে বলে জানান তাজুল।

তিনি আরও বলেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়নি, কারণ তা আন্তর্জাতিক সংজ্ঞার আওতায় পড়ে না। বরং এই অপরাধগুলোকে গণহত্যা নয়, বরং ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’ এবং ‘ম্যাসাকার’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

তদন্ত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, শেখ হাসিনা ১৪ জুলাই এক সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকারের সন্তান’ বলে আখ্যায়িত করে রাষ্ট্রীয় বাহিনী ও ক্ষমতাসীন দলের কর্মীদের উসকে দেন। এর জেরেই সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে বলে অভিযোগ। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীদের ‘অক্সিলিয়ারি ফোর্স’ হিসেবে বর্ণনা করে বলা হয়েছে, তারা রাষ্ট্রীয় বাহিনীর সঙ্গে মিলে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালায়।

এ ছাড়া শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্ররোচনা, ষড়যন্ত্র ও সরাসরি সম্পৃক্ততার অভিযোগ আনা হয়েছে। দল হিসেবে আওয়ামী লীগের ভূমিকা নিয়েও তদন্ত হতে পারে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর, যদিও এ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।

উল্লেখ্য, ২০১০ সালে যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে ২০২৪ সালের আইনি সংশোধনীর মাধ্যমে সম্প্রসারিত করা হয়, যাতে গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধগুলোর বিচার সম্ভব হয়। শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর এই ট্রাইব্যুনাল পুনরায় সক্রিয়ভাবে কাজ শুরু করে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!