যৌথ বাহিনীর অভিযানে গত ৮ থেকে ১৪ মে ঢাকাসহ সারা দেশে ২০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ, বোমা ও চোরাচালানের পণ্য জব্দ করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৬ মে) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, দেশের চলমান পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে দেশব্যাপী পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৮ মে থেকে ১৪ মে পর্যন্ত সাত দিনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের অধীনস্থ ইউনিট ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বেশকিছু যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এসব যৌথ অভিযানে হত্যা মামলার আসামি, অবৈধ অস্ত্রধারী, তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী, চোরাকারবারি, কিশোর গ্যাং সদস্য, অবৈধ বালি উত্তোলনকারী ও সরকারি বৃক্ষ কর্তনকারী, মাদক ব্যবসায়ী, মাদকাসক্ত এবং দালালচক্রের সদস্যসহ মোট ২০০ জন অপরাধীকে হাতেনাতে আটক করা হয়।
পাশাপাশি আটক অপরাধীদের কাছ থেকে ১০টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ৮৭টি বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ, ৫টি ককটেল বোমা, ৬টি হাতবোমা, বিভিন্ন মাদকদ্রব্য, সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রকার দেশীয় অস্ত্র, চোরাই মোবাইল ফোন, পাসপোর্ট, নকল খাদ্যদ্রব্য, চোরাই চিনি ও মসলা, অবৈধ ঔষধ ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়।
আটকদের প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ ও আইনি কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশব্যাপী জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিভিন্ন এলাকায় নিয়মিত টহল ও নিরাপত্তা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। শিল্পাঞ্চলসমূহে শ্রমিক অসন্তোষ প্রশমনে সেনা টহলদল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
একই সঙ্গে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপন নির্বিঘ্ন রাখতে সেনাবাহিনীর টহলদল সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ও পর্যবেক্ষণ নিশ্চিত করেছে।
দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
জনগণকে যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য প্রদান করার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :