রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ওড়ার পরপরই তার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি প্লেনের ইঞ্জিনে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি বুঝতে পেরে পাইলটের দ্রুত সিদ্ধান্ত ও দক্ষতায় বিমানটি নিরাপদভাবে জরুরি অবতরণ করতে সক্ষম হয়। এতে ২৯০ জন যাত্রী এবং ক্রুরা একটি বড় ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পান।
মঙ্গলবার (২০ মে) সকাল ৭টায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সকাল ৭টার দিকে উড্ডয়ন করে তার্কিশ এয়ারলাইন্সের TK-713 ফ্লাইটটি। এটি একটি এয়ারবাস A330-303 মডেলের বিমান। উড্ডয়নের প্রায় ১৫ মিনিট পর পাইলট একটি ইঞ্জিনে স্পার্ক বা আগুনের সঙ্কেত দেখতে পান। বিষয়টি বুঝেই তিনি দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে আকাশে ঘুরতে থাকেন, যাতে জ্বালানি পুড়ে হালকা হয়ে বিমানটি নিরাপদে নামানো যায়। প্রায় দেড় ঘণ্টা আকাশে চক্কর দেয়ার পর সকাল সোয়া ৮টার দিকে বিমানটি ঢাকায় জরুরি অবতরণ করে। অবতরণের পর প্লেন থেকে যাত্রীদের নামিয়ে আনা হয় এবং এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ তাদের হোটেলে পাঠানোর ব্যবস্থা নেয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এসএম রাগীব সামাদ বলেন, উড্ডয়নের পরপরই পাইলট একটি ইঞ্জিনে স্পার্ক দেখতে পান। সম্ভবত বার্ড হিট (পাখির আঘাত) থেকে এমনটা ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
বিমানবন্দর সূত্র জানায়, প্লেনটিতে যাত্রীদের মধ্যে বিভিন্ন দেশের নাগরিক ছিলেন, যারা তুরস্ক হয়ে ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন গন্তব্যে যাচ্ছিলেন। এই ঘটনার পর শাহজালালে সাময়িক সময়ের জন্য অন্যান্য ফ্লাইট চলাচলে প্রভাব পড়ে। তবে দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়। এই দুর্ঘটনা থেকে বোঝা যায়, দক্ষ পাইলট ও আধুনিক কন্ট্রোল ব্যবস্থার কারণে বড় ধরনের বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব হয়েছে।
ঘটনার প্রকৃত কারণ জানতে তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :