বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি), পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচিকে অযৌক্তিক ও শৃঙ্খলাবহির্ভূত বলেছে।
বুধবার (২১ মে) এক বিজ্ঞপ্তিতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি নিয়ে বিআরইবি এ কথা বলেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ‘পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্ন সমাধানযোগ্য যৌক্তিক সুযোগ-সুবিধাদি প্রদানের লক্ষ্যে প্রতি মাসে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সমিতিসমূহ পরিদর্শন করে প্রত্যেক সমিতির সব কর্মকর্ত-কর্মচারীকে নিয়ে আন্তরিকভাবে সবার সাথে সাক্ষাৎপূর্বক তাদের যৌক্তিক সুযোগ-সুবিধাদি ইতিবাচক হয়ে তা দ্রুততম সময়ে সমাধানের পদক্ষেপ গ্রহণ চলমান। মতবিনিময় ও ইতিবাচক সংস্কারমূলক পদক্ষেপ কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে শৃঙ্খলা, প্রণোদনা ও কাজের গতিশীলতা বৃদ্ধি করেছে।’
‘বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড এবং পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জন্য অভিন্ন সার্ভিস কোড ও একীভূত করার বিষয়টি সরকার/রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত, এটি বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড বা সংস্থাপ্রধানের এখতিয়ারভুক্ত নয়। এ বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। এ বিষয়টি কেন্দ্র করে গ্রাহকদের জিম্মি করে অফিস শৃঙ্খলা পরিপন্থি কোনো কার্যকলাপ বরদাস্ত করা হবে না। সরকারি চাকরি বিধি ভঙ্গকারীদের এবং দেশদ্রোহী কাজে সম্পৃক্তকারীদের চাকরিচ্যুত করা হবে মর্মে সরকার সংস্কারমূলক পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে। গ্রাহক সেবা বিপর্যয় ঘটিয়ে ব্ল্যাক আউটের মতো অস্থিতিশীল ও দেশকে অকার্যকর করার কাজ করেছে অপসারিত কিছু বিপথগামী কর্মকর্তা-কর্মচারী। বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়ায় নেত্রকোনায় একজন রোগী হাসপাতালে বিদ্যুতের অভাবে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করে, যা রাষ্ট্রদ্রোহ কাজের শামিল।’
এর আগে ২০ মে সারা দেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন এবং দমন-পীড়নের মাধ্যমে কর্মপরিবেশ অস্থিতিশীল করার দায়ে আরইবি চেয়ারম্যানের অপসারণসহ ৭ দফা দাবিতে ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।