অবরুদ্ধ গাজায় ‘ইসরায়েলি’ হামলায় আরও ৮০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে অন্তত ৪৯ জন ত্রাণপ্রত্যাশী ছিলেন। হামলায় ২৭০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ক্ষুধা ও অপুষ্টিতে আরও তিনজন প্রাণ হারিয়েছে, এর মধ্যে দুই শিশুও রয়েছে।
এই নিয়ে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় ক্ষুধা ও অপুষ্টিতে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৬২ জনের, যার শিশুর সংখ্যাই ৯২।
গাজায় ক্ষুধা ও অপুষ্টিতে মৃত্যুর ঘটনায় ‘ইসরায়েল’র কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিকভাবে নিন্দার ঝড় উঠেছে। মঙ্গলবার একটি বৈশ্বিক ক্ষুধা পর্যবেক্ষণ সংস্থা সতর্ক করে বলেছে, গাজায় ‘দুর্ভিক্ষের সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি’ তৈরি হচ্ছে।
ইসরায়েল সম্প্রতি আকাশপথ থেকে মানবিক সহায়তার অনুমতি দিলেও জাতিসংঘের শীর্ষ কর্মকর্তারা এটিকে ব্যয়বহুল, ঝুঁকিপূর্ণ এবং অকার্যকর বলে আখ্যা দিয়েছেন। তারা ‘ইসরায়েল’কে মানবিক সহায়তা প্রবেশে পূর্ণ সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) প্রধান ফিলিপ লাজারিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ লিখেছেন, ‘যদি আকাশপথে সাহায্য ফেলার মতো রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকে, তবে সড়কপথে প্রবেশের জন্যও একই সদিচ্ছা থাকা উচিত।’
তিনি আরও লেখেন, ‘গাজার মানুষ যখন অনাহারে মারা যাচ্ছে, তখন একমাত্র সমাধান হচ্ছে বিপুল সহায়তা সরবরাহ নিশ্চিত করা।’