আসন্ন অর্থবছরের বাজেটে প্রধান অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে। পাশাপাশি, আর্থসামাজিক বৈষম্য হ্রাস ও স্বল্প আয়ের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে নেওয়া হবে বিশেষ উদ্যোগ। ভোক্তারা বলছেন, বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে চাই বছরব্যাপী সুপরিকল্পিত ব্যবস্থা।
বর্তমানে দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমলেও এখনো তা ৯ শতাংশের ওপরে অবস্থান করছে। রমজান মাসে কিছু ভোগ্যপণ্যের দাম কমলেও পরে আবার তা বেড়ে যায়, যা সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় বিরূপ প্রভাব ফেলছে।
বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি প্রয়োজন স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য টার্গেটেড খাদ্য সহায়তা- এমনটাই মত বিশ্লেষকদের।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ জানিয়েছেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে আসন্ন বাজেটের আকার গতবারের চেয়ে কিছুটা কম হতে পারে। বড় প্রকল্প নেওয়ার পরিবর্তে, গ্রামীণ অর্থনীতিতে কর্মসংস্থান তৈরির ওপর জোর দেওয়া হবে। একই সঙ্গে, বেসরকারি খাতের বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ থাকবে বাজেটে।
অর্থনীতিবিদ ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, মূল্যস্ফীতি ৬.৫ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য থাকলেও তা বাস্তবায়ন কঠিন হবে। সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা ও বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি।
বিশ্লেষকদের মতে, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি রাজস্ব আদায়ে দক্ষতা বাড়ানো, করনীতি সংস্কার এবং সরকারি ব্যয় ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করাও হবে নতুন বাজেটের বড় চ্যালেঞ্জ।
আপনার মতামত লিখুন :