ঢাকা মঙ্গলবার, ০৩ জুন, ২০২৫

নেপালের কারাগার থেকে ৭০ ফুট সুড়ঙ্গ খুঁড়ে পালান সুব্রত বাইন

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ১, ২০২৫, ০৭:৩৩ পিএম
শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন। ছবি- সংগৃহীত

২০০৮ সালে ভারত থেকে পালিয়ে নেপালে আশ্রয় নেন দেশের শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত সুব্রত বাইন। সেখানেই তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন। এরপর নেপালের একটি কারাগারে আটক অবস্থায় ৭০ ফুট দীর্ঘ একটি সুড়ঙ্গ খুঁড়ে পালিয়ে যান তিনি। এ কাজে তাঁর সহযোগী ছিল একই কারাগারে বন্দি কয়েকজন বিহারি নাগরিক।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) হেফাজতে জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেলের জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য জানিয়েছেন সুব্রত বাইন।

জিজ্ঞাসাবাদে সুব্রত বলেন, “২০০৮ সালের দিকে আমি ভারত হয়ে নেপালে যাই এবং সেখানে গ্রেপ্তার হই। কারাগারে আমি চৌকিদারের দায়িত্বে ছিলাম। বন্দি বিহারিদের দেখভাল ছিল আমার ওপর।

২০১২ সালে তারা পালানোর পরিকল্পনা করে এবং আমাকে এতে যুক্ত করে। আমি রাজি হই। বন্দিদের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে কারাগারের কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে ভাগ করে নিতাম, এতে তারা আমার ওপর ভরসা করত। সেই সুযোগে আমি সুড়ঙ্গ খোঁড়ার কাজ শুরু করি।”

প্রথমে গোলাকার সুড়ঙ্গ তৈরি করতে গিয়ে ব্যর্থ হন সুব্রত। পরে ত্রিকোণ আকৃতির ৭০ ফুট লম্বা একটি সুড়ঙ্গ তৈরি করে তিনি ও বিহারি বন্দিরা পালিয়ে যান। এরপর তিনি ফের ভারতে গিয়ে আত্মগোপনে থাকেন। পরবর্তীতে তার স্ত্রী তাকে ভারতের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেন।

ডিবি সূত্র জানায়, ভারতে সুব্রত বাইনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা ছিল, এর মধ্যে একটি থেকে তিনি খালাস পেলেও বাকি তিনটি মামলা চলমান অবস্থায় ২০২২ সালে তাঁকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেয় ভারত।

সুব্রতের বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া নানা তথ্য গুরুত্বের সঙ্গে পর্যালোচনা করছে গোয়েন্দা পুলিশ। ছদ্মনামে পাসপোর্ট সংগ্রহের বিষয়টিও তদন্তাধীন।

গত ২৭ মে কুষ্টিয়া শহর থেকে সেনাবাহিনীর একটি দল অভিযান চালিয়ে সুব্রত বাইনসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে। বাকি তিনজন হলেন, মোল্লা মাসুদ, আরাফাত ও শরীফ। পরদিন হাতিরঝিল থানায় অস্ত্র আইনে দায়ের করা মামলায় সুব্রতকে আটদিন এবং অপর তিনজনকে ছয়দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দেয় আদালত। এরপর মামলাটি তদন্তের জন্য ডিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়।