ঢাকা শুক্রবার, ০৬ জুন, ২০২৫

অষ্টম শ্রেণি পাস স্ত্রীকে প্রভাষকের চাকরি দেন সাবেক এমপি

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ৪, ২০২৫, ০৯:০৫ পিএম
স্ত্রী লায়লা পারভীনের সঙ্গে এ কে এম এ আউয়াল। ছবি- সংগৃহীত

ভুয়া সনদের মাধ্যমে কলেজে প্রভাষক পদে নিয়োগ দিয়ে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএমএ আউয়াল, তার স্ত্রী লায়লা পারভীন ও এক কলেজ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (৩ জুন) দুদকের পিরোজপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন সম্রাট বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৩ সালের ২২ ডিসেম্বর পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মহিলা কলেজে ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের প্রভাষক পদে নিয়োগ পান লায়লা পারভীন। তিনি ওই কলেজের দাতা সদস্য ও গভর্নিংবডির সভাপতি একেএমএ আউয়ালের স্ত্রী। তবে নিয়োগের সময় দেওয়া তার এসএসসি, এইচএসসি ও স্নাতক সনদপত্র যাচাই করে দুদক নিশ্চিত হয়, সব সনদই ভুয়া।

তদন্তে জানা যায়, লায়লা পারভীন প্রকৃতপক্ষে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। স্বামী আউয়ালের প্রভাব ও কলেজের অধ্যক্ষ ঠাকুর চাঁদ মজুমদারের সহযোগিতায় তিনি প্রভাষক পদে চাকরি লাভ করেন এবং সরকারি অর্থ উত্তোলন করেন।

দুদকের তথ্য অনুযায়ী, এমপিওভুক্ত না থাকা অবস্থায়ও কলেজটি ২০১৮ সালে সরকারি ঘোষণা পায়। একই বছর ৮ আগস্ট থেকে ২০১৯ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত লায়লা পারভীন নাজিরপুর সোনালী ব্যাংক শাখা থেকে মোট ৩ লাখ ৯৫ হাজার ৪০৬ টাকা বেতন হিসেবে উত্তোলন করেন।

দুদক পিরোজপুর কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘সাবেক এমপি আউয়াল তার স্ত্রীকে কলেজে প্রভাষক পদে নিয়োগ দিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। আমি নিজে তদন্ত করে মোয়াজ্জেম হোসেন সম্রাটকে দিয়ে মামলা করিয়েছি।’