যুক্তরাজ্যের সাবেক ‘সিটি মিনিস্টার’ টিউলিপ সিদ্দিকের পক্ষ থেকে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে লেখা কোনো চিঠি এখনো প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর পায়নি বলে জানিয়েছেন তাঁর প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
রোববার (৮ জুন) বিকেলে তিনি একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা টিউলিপ সিদ্দিকের কোনো চিঠি পাইনি। ৫ জুন থেকে আমরা ছুটিতে আছি।’
এর আগে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে সাক্ষাৎ করে তাঁর বিরুদ্ধে থাকা দুর্নীতির অভিযোগ বিষয়ে ‘ভুল বোঝাবুঝির অবসান’ ঘটাতে চান টিউলিপ। সেই লক্ষ্যে তিনি বাংলাদেশ সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনি হিসেবে ইউনূসের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আগামীকাল সোমবার (৯ জুন) অধ্যাপক ইউনূস সরকারি সফরে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন। সফরের অংশ হিসেবে তিনি যুক্তরাজ্যের রাজা তৃতীয় চার্লস ও প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নেবেন। এ ছাড়া তিনি পররাষ্ট্রসচিব ডেভিড ল্যামি, ব্রিটিশ মন্ত্রিসভার সদস্য, রাজনীতিবিদ এবং নীতিনির্ধারক ও ব্যবসায়িক সম্প্রদায়ের শীর্ষ ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন।
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শেখ হাসিনার শাসনামলে টিউলিপ সিদ্দিক ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে বিশেষ সুবিধা গ্রহণের অভিযোগ রয়েছে। বিশেষ করে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষ থেকে টিউলিপ ও তাঁর মা শেখ রেহানার বিরুদ্ধে ৭ হাজার ২০০ বর্গফুট প্লট গ্রহণে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ উঠেছে।
তবে এসব অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেছেন টিউলিপ। তাঁর আইনজীবীরা একে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে আখ্যা দিয়েছেন এবং অভিযোগ করেছেন, বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাঁদের সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ করছে না।
আপনার মতামত লিখুন :