মঙ্গলবার, ১৭ জুন, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ১৭, ২০২৫, ১০:৩৩ এএম

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত: হুমকির মুখে বাংলাদেশের অর্থনীতি

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ১৭, ২০২৫, ১০:৩৩ এএম

ইসরায়েলে ইরানের হামলা। ছবি- সংগৃহীত

ইসরায়েলে ইরানের হামলা। ছবি- সংগৃহীত

ইরানে ইসরায়েলের হামলায় বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও এক ধরনের অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। 

অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকরা বলছেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় দ্রুত প্রস্তুতি নিতে হবে। নয়তো বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও প্রবৃদ্ধির গতিপথ হুমকির মুখে পড়বে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এবং সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যে অব্যাহত উত্তেজনার ফলে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সৃষ্টি হতে পারে। এর প্রধান কারণ হলো সারা বিশ্বে তেলের দাম বৃদ্ধি, বাণিজ্যিক রুট ব্যাহত হওয়া ও রেমিট্যান্স প্রবাহের ওপর সম্ভাব্য প্রভাব।’

তিনি বলেন, ক্রমবর্ধমান রপ্তানিমুখী অর্থনীতি হিসেবে বাংলাদেশ নির্বিঘ্ন আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও স্থিতিশীল জ্বালানি মূল্যের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। দেশের তৈরি পোশাক (আরএমজি) খাতের মোট রপ্তানি আয়ের ৮৩ শতাংশেরও বেশি। তৈরি পোশাকের রপ্তানির ধারাবাহিকতা ধরে রাখার জন্য নিরাপদ বাণিজ্য রুট এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় বাজারে স্থিতিশীলতা অপরিহার্য।

ড. রায়হান আরও বলেন, বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা আমদানির সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত। বিশেষ করে হরমুজ প্রণালি দিয়ে যাতায়াতের সঙ্গে, যা একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক শিপিং করিডর, যা বিশ্বের তেল সরবরাহের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ পরিচালনা করে। এই রুট দিয়ে জাহাজ চলাচলে যেকোনো ব্যাঘাত দেশের অর্থনীতিতে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, দীর্ঘস্থায়ী সংঘাত, বিশেষ করে হরমুজ প্রণালি বন্ধ করে দেওয়ায় প্রতি ব্যারেল তেলের দাম ৯০ থেকে ১২০ মার্কিন ডলার পর্যন্ত বাড়তে পারে। বাংলাদেশের মতো আমদানিনির্ভরশীল দেশগুলোকে এ ধরনের পরিস্থিতিতে আকাশচুম্বী আমদানি ব্যয় মেটাতে হতে পারে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মতে, মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সম্প্রতি ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি পুনরুদ্ধার হয়েছে। এই রিজার্ভ বাহ্যিক ধাক্কার ঝুঁকিতে রয়েছে। তেলের দাম বৃদ্ধি ও জাহাজ পরিবহন ব্যয় বাড়ার কারণে আমদানি ব্যয়ের ধারাবাহিক বৃদ্ধির ফলে দ্রুত কমে যেতে পারে রিজার্ভ। এর ফলে প্রয়োজনীয় আমদানি ব্যয় মেটানো ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়বে।

অর্থনীতিবিদরা সরকারকে জরুরি কৌশল তৈরি করে সতর্ক ও সক্রিয় থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে বিকল্প জ্বালানি উৎস তৈরি, বিকল্প বাণিজ্য রুট সন্ধান ও বিশ্বব্যাপী অস্থিতিশীলতার আঘাত কমাতে তৈরি পোশাক খাতকে পরিকল্পিত সহায়তা দেওয়া। 

তারা বলেন, দীর্ঘস্থায়ী ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের তীব্র প্রভাব বাংলাদেশের অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। এর ফলে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধীর হয়ে যেতে পারে ও জনসংখ্যার ওপর মুদ্রাস্ফীতির চাপ বাড়তে পারে।

তথ্যসূত্র: ইউএনবি।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!