২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে উত্থাপিত বিভিন্ন অভিযোগ তদন্তে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
পাঁচ সদস্যের এ কমিটির সভাপতি করা হয়েছে হাইকোর্টের সাবেক বিচারপতি শামীম হাসনাইনকে।
কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন- সাবেক অতিরিক্ত সচিব শামীম আল মামুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মাহফুজুল হক, আইনজীবী তাজরিয়ান আকরাম হোসাইন এবং নির্বাচন বিশেষজ্ঞ মো. আব্দুল আলীম।
এই কমিটিকে ভবিষ্যতে সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় সুপারিশ পেশ করার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদারের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কমিটিটি অতীতের নির্বাচনগুলোতে সম্ভাব্য অনিয়ম, প্রশাসনিক পক্ষপাত কিংবা ভোটারদের অধিকার হরণের অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখবে এবং সেই অভিজ্ঞতার আলোকে আগামী নির্বাচনগুলো আরও নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক করার জন্য সুপারিশ পেশ করবে।
বাংলাদেশের সবশেষ তিনটি জাতীয় নির্বাচনের প্রতিটিই দেশি-বিদেশি বিভিন্ন পর্যবেক্ষক এবং বিরোধীদলের কাছ থেকে সমালোচনার মুখে পড়ে। বিশেষ করে ২০১৪ সালে বিএনপি ও শরিকদের বর্জনের পর ভোটে ব্যাপক অনুপস্থিতি এবং ২০১৮ সালে নির্বাচনের দিন ব্যাপক সহিংসতা ও কারচুপির অভিযোগ উঠেছিল।
এই পরিস্থিতিতে আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন ব্যবস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা ফেরানো সরকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। সেটি সামনে রেখেই এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ধরনের একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি জনআস্থা ফেরাতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে, যদি এর কার্যক্রম স্বচ্ছ ও নির্ভরযোগ্য হয়।
কমিটি মূলত নিচের বিষয়গুলো যাচাই-বাছাই করবে:
১. ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে অনিয়ম, কারচুপি, প্রশাসনিক পক্ষপাত এবং সহিংসতার অভিযোগ
২. নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা ও সক্ষমতা
৩. রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ এবং বিরোধীদলের অভিযোগ
৪. ভোটারদের নিরাপত্তা ও ভোটাধিকার প্রয়োগে বাধা
এ ছাড়া, কমিটি নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কারে সম্ভাব্য সুপারিশ প্রণয়ন করবে, যাতে আগামী নির্বাচনগুলোতে জনআস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়।
আপনার মতামত লিখুন :