সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ড. এ টি এম শামসুল হুদা মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। শনিবার (৫ জুলাই) সকাল ৯টায় গুলশানে বাসভবনে তিনি মারা গেছেন বলে নিশ্চিত করেন তার ভগ্নিপতি আশফাক কাদেরী।
তিনি বলেন, ‘সকাল ৯ টায় বাসায় মারা যান সাবেক সিইসি। পরে তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে আনা হলে সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী মেয়ে দেশে ফিরলে জানাজার সময় নির্ধারণ করা হবে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে। তিনি স্ত্রী ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।
শামসুল হুদা ১৯৬৬ সালে তিনি পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন। দেশের স্বাধীনতার পরে তিনি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন।
তিনি বাগেরহাটে মহকুমা প্রশাসক (সাব ডিভিশনাল অফিসার), পানি সম্পদ ও অর্থ মন্ত্রনালয়ের সচিব এবং এর আগে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
২০০০ সালে তিনি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন। এরপর ২০০৭ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি প্রধান নির্বাচন কমিশনার পদে নিয়োগ পান এ.টি.এম শামসুল হুদা। পাঁচ বছর দায়িত্ব পালন শেষে তিনি ২০১২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি বিদায় নেন।
ভোটের আগে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন হয় ওই কমিশনের সময়েই। সংলাপ করে নির্বাচনী আইন সংস্কার করা হয়। চালু হয় রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের নিয়ম ও ইভিএম।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম সংসদ নির্বাচন করে শামসুল হুদার কমিশন। ৮৭ শতাংশের বেশি ভোটারের উপস্থিতিতে সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২৩০, বিএনপি ৩০ ও জাতীয় পার্টি ২৭ আসন পায়।
বিএনপি বরাবরই ওই ইসির সমালোচনায় মুখর ছিল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থার বিলোপ ঘটে। সংবিধানে যোগ হয় ৫ সদস্যের ইসির গঠনের নিয়ম।