ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই, ২০২৫

সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে অটল বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ১৭, ২০২৫, ১২:০৩ পিএম
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। ছবি- সংগৃহীত

মালয়েশিয়ায় কয়েকজন বাংলাদেশি নাগরিকের সন্ত্রাসবাদ সংশ্লিষ্ট অভিযোগে গ্রেপ্তারের পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে বাংলাদেশ। একইসঙ্গে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির প্রতি সরকারের অটল অবস্থানের কথাও পুনর্ব্যক্ত করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

বুধবার (১৬ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সন্ত্রাসবাদ ও উগ্র চরমপন্থার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে কোনো পরিবর্তন আসেনি। আমরা মালয়েশিয়ায় চলমান তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।

তিনি আরও জানান, মালয়েশিয়ার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ সরকারের এ সহায়তার প্রস্তাবে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। আমি তাদের আমাদের পক্ষ থেকে সহযোগিতার নিশ্চয়তা দিয়েছি। তারাও আমাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে সম্মত হয়েছেন।

উল্লেখ্য, মালয়েশিয়ায় সম্প্রতি পাঁচ বাংলাদেশি নাগরিককে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে নতুন করে আরও দুজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানান উপদেষ্টা। 

তিনি বলেন, আমরা ইঙ্গিত পেয়েছি, তদন্তের ধারাবাহিকতায় আরও কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশন ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের পরিচয় ও অভিযোগের বিস্তারিত জানতে মালয়েশিয়া সরকারের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ জানিয়েছে।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, যদি কেউ সত্যিই অভিযুক্ত হয়ে থাকে, তাহলে সে মালয়েশিয়ার আইন অনুযায়ী বিচার ও শাস্তির মুখোমুখি হবে। শাস্তি হতে পারে ২ থেকে ৭ বছর পর্যন্ত। তবে যদি কেউ নির্দোষ প্রমাণিত হয়, তাহলে তাকে মুক্তি দিতে হবে এটাই স্বাভাবিক।

তিনি আরও জানান, গত সপ্তাহে কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত ৩২তম আসিয়ান আঞ্চলিক ফোরামের (এআরএফ) মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাতো সেরি মোহামাদ হাসানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। বৈঠকে উভয় দেশ তথ্য আদান-প্রদান এবং গ্রেপ্তারকৃতদের জন্য যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে সম্মত হয়।

মালয়েশিয়া সরকার জানিয়েছে, এ পর্যন্ত পাঁচ বাংলাদেশির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনা হয়েছে এবং তদন্ত এখনো চলমান।