শনিবার, ১৯ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ১৯, ২০২৫, ০৪:৩৪ পিএম

জাতিসংঘের অফিস নিয়ে ব্যাখ্যা দিল সরকার

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ১৯, ২০২৫, ০৪:৩৪ পিএম

ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনের মিশন চালুর বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যাখ্যা দিয়েছে।

শনিবার (১৯ জুলাই) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়।

ব্যাখ্যায় বলা হয়, মানবাধিকারের সুরক্ষা ও বিকাশে সহায়তা করার লক্ষ্যে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের অফিস এবং বাংলাদেশ সরকার ৩ বছর মেয়াদি একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে।

প্রেস উইংয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘মিশনটির প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং নাগরিক সংগঠনগুলোকে প্রশিক্ষণ ও কারিগরি সহায়তা প্রদান করা। এর উদ্দেশ্য বাংলাদেশকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বাধ্যবাধকতা পূরণে সক্ষমতা বৃদ্ধি, আইনি সহায়তা ও প্রাতিষ্ঠানিক শক্তিশালীকরণ।’

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ‘উদ্যোগটি ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রেক্ষাপটে গৃহীত সংস্কার এবং জবাবদিহিতার প্রতি বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতিকে প্রতিফলিত করে। আমরা জানি, জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থাগুলোর আদর্শিক অবস্থান নিয়ে সমাজের কিছু অংশের মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে।’

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘বাংলাদেশের সমাজ ব্যবস্থা শক্তিশালী সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় ঐতিহ্যের ওপর প্রতিষ্ঠিত। আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বের ক্ষেত্রে এই মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিত।’

‘ওএইচসিএইচআর মিশন মানবাধিকারের যেকোনো গুরুতর লঙ্ঘনের প্রতিরোধ ও প্রতিকার এবং বিগত সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব দেবে। এটি দেশের আইনি, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কাঠামোর বাইরে কোনো সামাজিক এজেন্ডাকে উৎসাহিত করবে না।’

সরকার আশা করে, ‘মিশনটি সর্বদা স্বচ্ছতা বজায় রাখবে এবং স্থানীয় অংশীদারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে। জাতিসংঘ বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় বাস্তবতার প্রতি সম্মান রেখে কাজ করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সরকার প্রয়োজনে এই অংশীদারিত্ব থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করার সার্বভৌম অধিকার সংরক্ষণ করে, যদি মনে হয় তা জাতীয় স্বার্থের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ।’

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘বিগত সময়ে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও গণহত্যার দায়মুক্তির ঘটনা ঘটেছে। যদি তখন জাতিসংঘের এই ধরনের কার্যক্রম চলমান থাকত, তাহলে অনেক অপরাধের সঠিক তদন্ত, লিপিবদ্ধকরণ ও বিচার সম্ভব হত। বর্তমান সময়ে মানবাধিকারের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতি আদর্শের নয়, ন্যায়বিচারের ওপর ভিত্তি করে হওয়া উচিত।’

রূপালী বাংলাদেশ

Shera Lather
Link copied!