রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই শিক্ষার্থী। দগ্ধদের ঢাকা মেডিকেল কলেজের জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়া হচ্ছে।
সোমবার (২১ জুলাই) বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত সেখানে ২৮ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্তরা জানিয়েছেন, দগ্ধদের বেশির ভাগই শিক্ষার্থী। তবে তাৎক্ষণিকভাবে দগ্ধদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
এদিকে, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় একজন মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিস।
বহু হতাহতের আশঙ্কা করছেন উদ্ধারকারীরা। আহতদের মধ্যে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি বলে জানা গেছে।
এ ঘটনার পর এরই মধ্যে মাইলস্টোন কলেজের সামনে শিক্ষার্থীদের স্বজনরা ভিড় করছেন। শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের আহাজারি লক্ষ করা গেছে।
লাকি আক্তার নামে এক অভিভাবক বলেন, ‘আমার দুই সন্তান এখানে পড়ত। বড় সন্তানকে বের করা গেছে। তবে ছোট সন্তান এখনো আটকে আছে। তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করতে পারছি না।’
ফেরদৌসি বেগম বলেন, ‘আমার মেয়ে ভেতরে আটকা পড়েছে। মেয়ের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করতে পারছি না।’
মাইলস্টোন কলেজের অধ্যাপক সবুজ মিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, ‘স্কুলের দোতলা ভবনের প্রবেশ মুখে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। তখন স্কুল ছুটি হয়ে গেছে। কিছু শিক্ষার্থী বের হয়ে গেছে, অনেকে ভেতরেই ছিল। বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পরই আগুন ধরে যায়।’
বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ অন্তত ৬০ জনকে বার্ন ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় দলীয় কর্মীদের উদ্ধারকাজে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান। সোমবার (২১ জুলাই) বিকেল তিনটার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ আহ্বান জানান।
জামায়াতে ইসলামীর আমির বলেন, ‘রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল ক্যাম্পাসের ওপর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সর্বস্তরের জনশক্তি ও এলাকাবাসীকে উদ্ধার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ এবং আহতদের চিকিৎসায় সর্বাত্মক সহায়তা প্রদানে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘আল্লাহ তায়ালা নিহতদের প্রতি রহম করুন, তাদের ক্ষমা করুন এবং প্রত্যেককে শাহাদাতের মর্যাদা দিয়ে জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান করুন। আহতদের আল্লাহ তায়ালা দ্রুত পূর্ণ সুস্থতা দান করে তার অপরিসীম নিয়ামতে সিক্ত করুন। নিহতদের আপনজন, প্রিয়জন ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের আল্লাহ তায়ালা উত্তম ধৈর্য ধারণের তাওফিক দান করুন। আমিন।’