২৫ জুলাই—রক্তাক্ত জুলাইয়ের সবচেয়ে আলোচিত দিনগুলোর একটি। আন্দোলন দমনে র্যাবের হেলিকপ্টার ব্যবহার, প্রাণঘাতী হামলা, আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক বাক্যে দিনটি হয়ে ওঠে স্মরণীয় ও বিতর্কিত।
সেদিন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে র্যাব হেলিকপ্টার থেকে সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার গ্যাসের শেল ছোড়ে বলে অভিযোগ ওঠে।
এমনকি গুলির কথাও উঠে আসলেও র্যাব তা অস্বীকার করে। তবে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের এক প্রতিবেদন সেদিনই জানায়, সরকার বাহিনী আন্দোলনকারীদের ওপর প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করেছে।
জাতিসংঘ, অ্যামনেস্টি, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ একাধিক আন্তর্জাতিক সংস্থা ও রাষ্ট্র সেদিনই ছাত্র ও নাগরিক আন্দোলনকারীদের ওপর দমনপীড়ন বন্ধের আহ্বান জানায়।
তবে সেদিন বিকেলে সরকারের পক্ষ থেকে ভিন্ন একটি বার্তা আসে। কারফিউ শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাসপাতালে না গিয়ে সরাসরি চলে যান মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া মেট্রোরেল স্টেশন পরিদর্শনে। সেখানে তিনি আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
সেই দৃশ্য সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, আর মুহূর্তেই ‘নাটক কম করো পিও’ বাক্যটি হয়ে ওঠে ভাইরাল। দেয়ালচিত্র, পোস্টার, ফেসবুক পোস্ট—সব জায়গায় ঝড় তোলে এই বাক্যটি।
এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে সংলাপের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরির আহ্বান জানানো হয়। ২৬ ও ২৭ জুলাই ৯ ঘণ্টা করে কারফিউ শিথিল করা হয়।
এর আগের দিন ২৪ জুলাই সংঘর্ষে আহত আরও তিনজন হাসপাতালে মারা যান। সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় দুই শতাধিক। এদিন শতাধিক বিক্ষোভকারী, ছাত্র এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।