ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫

 ঐকমত্য ছাড়া পররাষ্ট্রনীতিকে শক্তিশালী করা সম্ভব নয়

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ১, ২০২৫, ০৯:৫৪ এএম
সিজিএসের সংলাপে বক্তারা। ছবি- সংগৃহীত

পররাষ্ট্রনীতিতে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কৌশলগত ভারসাম্য রক্ষা করতে বাংলাদেশ ব্যর্থ হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, পররাষ্ট্রনীতিকে কার্যকর ও সময়োপযোগী করতে প্রয়োজন জাতীয় ঐকমত্য। সুসংহত ঐকমত্য ছাড়া কোনো দেশের পররাষ্ট্রনীতিকে শক্তিশালী করা সম্ভব নয়।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজের (সিজিএস) আয়োজিত ‘গণতান্ত্রিক পুনর্গঠনের জন্য সংলাপ: পররাষ্ট্রনীতি প্রসঙ্গ’ শীর্ষক এক সংলাপে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন বক্তারা। 

সাবেক পররাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘চীনের সঙ্গে সুদৃঢ় সম্পর্ক গড়তে হবে, তবে জনগণের ট্যাক্সের টাকায় কী ধরনের প্রকল্পে অর্থ যাবে, তা নির্ধারণে জনগণের অংশগ্রহণ জরুরি। তিনি প্রবাসী বাংলাদেশিদের (ডায়াস্পোরা) সংসদে প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার পরামর্শ দেন।

সিজিএসের প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমান বলেন, ‘আমাদের অর্থনৈতিক দুরবস্থার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র এখন চায়, আপনি হয় তাদের সঙ্গে থাকবেন, নয়তো চীনের সঙ্গে। এর মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করা দিন দিন কঠিন হয়ে পড়ছে। বেকারত্ব বেড়েছে, মানবাধিকার পরিস্থিতি নাজুক, আর এসব কারণে আন্তর্জাতিক সম্পর্কেও টানাপড়েন চলছে।

সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক পারভেজ করিম আব্বাসী বলেন, ‘চীন-যুক্তরাষ্ট্র বৈরিতার মধ্যে বাংলাদেশ এখন বাজেভাবে আটকে গেছে। আমরা চীন থেকে কাঁচামাল কিনি, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক বসিয়ে দেয়। আবার রপ্তানি বাজার হিসেবে সবচেয়ে বড় ভরসা যুক্তরাষ্ট্র। তাই যক্তরাষ্ট্রকে বাদ দিয়ে ইউরোপের দিকে ঝুঁকতে চাওয়া বোকামি।’

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহির উদ্দিন স্বপন বলেন, ‘আমরা আমদানিনির্ভর অর্থনীতির মধ্যে আছি। রেমিট্যান্স আর গার্মেন্টস আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার প্রধান উৎস। রপ্তানির বড় অংশ যায় আমেরিকা ও ইউরোপে। এ অবস্থায় কূটনৈতিক ভারসাম্য রক্ষা ছাড়া আমাদের উপায় নেই।’

সাবেক কূটনীতিক এম শফিউল্লাহ বলেন, ‘সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে কূটনৈতিক অবস্থান বদলে গেলে সমস্যায় পড়েন পেশাদার কূটনীতিকরা। পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে একটি ন্যাশনাল কনসেনসাস জরুরি।’