ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫

‘সংস্কারের নামে এক জালে জনগণকে আটকে রাখতে চাচ্ছে সরকার’

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ১, ২০২৫, ০৭:৪৮ পিএম
মৌলভীবাজার জেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক কমিটির পরিচিতি সভা। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

মৌলভীবাজার বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক পৌর মেয়র মো. ফয়জুল করিম ময়ূন বলেন, ‘সরকার সংস্কারের নামে জনগণকে এক জালে আটকে রাখার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তারা পরিকল্পিতভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করছে এবং সময়ক্ষেপণ করে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করছে।’

শুক্রবার (১ আগস্ট) বিকেলে মৌলভীবাজার পৌরসভার কনফারেন্স রুমে এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।

মৌলভীবাজার জেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক কমিটির পরিচিতি সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক মো. মুসা মিয়া এবং সঞ্চালনা করেন সংগঠনটির সদস্য সচিব জামাল উদ্দিন জীবন।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক পৌর মেয়র মো. ফয়জুল করিম ময়ূন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘মৌলভীবাজার জেলা মৎস্যজীবী দল দীর্ঘদিন অবহেলিত থাকলেও বিগত হাসিনা বিরোধী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আহ্বায়ক মুসা মিয়াসহ অন্তত ১৫-২০ জন ত্যাগী নেতাকর্মী মিথ্যা মামলায় দীর্ঘদিন কারাবরণ করেছেন। এমনকি চলমান ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় সংগঠনের একজন কর্মী গুলিবিদ্ধ হন।’

তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের দিয়েই জেলা, উপজেলা ও পৌর ইউনিটের কমিটি গঠন করতে হবে। দালাল, ভুঁইফোড় ও সুবিধাবাদীদের দলে ঠাঁই দেওয়া যাবে না। কারণ তারা আন্দোলনের সময় গা ঢাকা দেয়, কিন্তু সুযোগ এলেই সামনে আসে।’

নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘বর্তমান সরকার কথিত ‘সংস্কার’-এর নামে জনগণকে এক জালে আটকে রাখার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তারা পরিকল্পিতভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করছে এবং সময়ক্ষেপণ করে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করছে। আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চাই, এই তালবাহানা আর চলবে না। অবিলম্বে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দিতে হবে। এটি এখন কোনো একক দলের নয়, গোটা জাতির দাবি।’’

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি মো. আলী রাকিব, বড়লেখার সভাপতি আব্দুল বাছিত, কুলাউড়ার সভাপতি এমদাদ হোসেন, কমলগঞ্জের সভাপতি কাবিল হোসেন, রাজনগরের সভাপতি মো. ছালিক মিয়া প্রমুখ।