রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদের পানি বর্তমানে বিপৎসীমার কাছাকাছি অবস্থানে রয়েছে। রোববার (৩ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত হ্রদের পানির উচ্চতা ছিল ১০৭ এমএসএল (মিন সি লেভেল)। হ্রদের পানির এই উচ্চতা বিবেচনায় নিয়ে আজ সোমবার (৪ আগস্ট) বিকেল ৩টায় কাপ্তাই বাঁধের স্পিলওয়ের ১৬টি জলকপাট ৬ ইঞ্চি করে খুলে পানি নিষ্কাশনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্র কর্তৃপক্ষ।
জরুরি এক বিজ্ঞপ্তিতে বিদ্যুৎকেন্দ্র কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জলকপাট খোলা হলে প্রতিদিন প্রায় ৯ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলী নদীতে প্রবাহিত হবে। হ্রদের উজান ও ভাটি এলাকার বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৫টি ইউনিট চালু রয়েছে, যা থেকে দৈনিক প্রায় ৩২ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলী নদীতে ছাড়া হচ্ছে। এই নদীর শেষ গন্তব্য বঙ্গোপসাগর।
বিদ্যুৎকেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান জানিয়েছেন, ‘যদি হ্রদের পানির উচ্চতা নির্ধারিত মাত্রার ওপরে থাকে, তাহলে সোমবার বিকেলেই স্পিলওয়ের গেট খুলে দেওয়া হবে। তবে পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে এক দিন পরও খোলা হতে পারে।’
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বর্তমানে হ্রদের পানির স্রোত ও বৃষ্টিপাত পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। যদি পানি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়, তাহলে প্রয়োজন অনুযায়ী গেট খোলার পরিমাণ বাড়ানো হবে।