ট্রাভেল এজেন্টদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব)-এর কার্যনির্বাহী কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোতাকাব্বীর আহমেদকে সংগঠনের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৪ আগস্ট) জারি করা এক অফিস আদেশে বলা হয়, আটাবের অভ্যন্তরে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের একাধিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
অফিস আদেশে আরও বলা হয়, প্রশাসক মোতাকাব্বীর আহমেদ ভোটার তালিকা হালনাগাদ করে আগামী ১২০ দিনের মধ্যে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করবেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দাবি, আটাবের বর্তমান কমিটি অবৈধ ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়েছে। তা ছাড়া, বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও ‘আটাব অনলাইন’ নামে একটি প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বিপুলসংখ্যক শেয়ারহোল্ডারের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
এই অভিযোগে আটাবের সভাপতি ও মহাসচিবের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধনও অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘আটাব সংস্কার পরিষদ’ নামের একটি পক্ষ সংগঠনের কার্যক্রমে প্রশাসক নিয়োগের দাবি জানিয়ে আবেদন করে।
এ প্রেক্ষিতে বাণিজ্য সংগঠন আইন, ২০২২-এর ১৭ ধারা অনুযায়ী আটাবের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ বাতিল করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
এর আগে, ১৮ মার্চ ‘আটাব সংস্কার পরিষদ’ থেকে আটাব সভাপতি আব্দুস সালাম আরেফ ও মহাসচিব আফসিয়া জান্নাত সালেহর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে বাণিজ্য, পর্যটন এবং বিমান পরিবহণ এই তিন মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়।
গত ১ মার্চ গোফরান চৌধুরীকে আহ্বায়ক ও আমির হোসেন আরিফকে সদস্যসচিব করে ১৬ সদস্যবিশিষ্ট আটাব সংস্কার পরিষদ গঠন করা হয়। পরে ১৮ মার্চ আহ্বায়ক ও মঈন ট্রাভেলসের মালিক গোফরান চৌধুরী আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগপত্র জমা দেন।
পরবর্তীতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ পাঠিয়ে জানতে চাওয়া হয় কেন আটাবে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হবে না। ২২ এপ্রিল পাঠানো সেই শোকজে সাত কার্যদিবসের মধ্যে লিখিত জবাব দিতে বলা হয় আটাবের সভাপতি ও মহাসচিবকে।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৫ মার্চ আটাবের বর্তমান কমিটি দায়িত্ব গ্রহণ করেছিল। এর পাঁচ মাসের মাথায় সোমাবার (৪ আগস্ট) কমিটি বিলুপ্তির ঘোষণা এল।