গণহত্যার জন্য আনুষ্ঠানিক ক্ষমা প্রার্থনা ও মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী পাওনা আদায়ের বিষয়টি পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আসন্ন সফরে আলোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
সোমবার (৪ আগস্ট) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস ২০২৫’ শীর্ষক সেমিনারে এই কথা বলেন তিনি।
তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘আমরাই আমাদের এই জায়গায় এনেছি। দেশের ভেতরের অস্থিরতার প্রভাব পড়ছে প্রবাসে অবস্থানরত দেড় কোটিরও বেশি বাংলাদেশির ওপর।’
তিনি বলেন, ‘প্রকৃত অপরাধীদের শায়েস্তা না করলে সবুজ পাসপোর্টধারীদের বিদেশে নানামুখী ভোগান্তি লাঘব হবে না। এই দায় কারও ওপর চাপিয়ে লাভ নেই।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সবসময় সেবা দিতে পারছে না। বিদেশের মিশনগুলোতে সীমাবদ্ধতা রয়েছে। অনেক চেষ্টা করেও আমরা সেবা নিশ্চিত করতে পারি না। তবে এসব মিশনে সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর পরিকল্পনা চলছে।’
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই অভ্যুত্থান দেশ ও জাতির অধিকার আদায়ের পথ সুগম করেছে। তরুণদের আত্মত্যাগ বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ পথচলায় অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। বিশ্বকে দেখিয়ে দিতে হবে, আমরা ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় আপসহীন।’
নির্বাচন প্রসঙ্গে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘এ দেশে মাত্র চারটি নির্বাচনে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটেছে। কারচুপির রাজনীতি শুরু হয়েছিল ১৯৭৩ সাল থেকেই। এর অবসান ঘটাতে না পারলে গণতন্ত্র শক্তিশালী হবে না।’
আপনার মতামত লিখুন :