শুক্রবার, ০৮ আগস্ট, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বাসস

প্রকাশিত: আগস্ট ৮, ২০২৫, ০২:৪৩ পিএম

অসহায় ও দুস্থদের মাঝে চাল বিতরণ করেছে সরকার

বাসস

প্রকাশিত: আগস্ট ৮, ২০২৫, ০২:৪৩ পিএম

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

অন্তর্বর্তী সরকার চরম দরিদ্র ও দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মধ্যে ৩ লাখ ৩৫ হাজার ৪৪৩ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করেছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের দুস্থদের খাদ্য সহায়তা (ভিজিএফ) কর্মসূচির আওতায়, দুস্থ ও অতি দরিদ্র মানুষের মধ্যে প্রায় ২,০৩,৭৯৮ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে, যার লক্ষ্য ছিল খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস করা। 

গত দুই ঈদে ১ কোটি ৭৬ লাখ পরিবারের মধ্যে এই চাল বিতরণ করা হয়। এতে প্রতি পরিবার ১০ কেজি করে চাল পায়। সরকারি এক নথি থেকে এ কথা জানা যায়। 

ত্রাণ কর্মসূচির আওতায় প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র ও অসহায় পরিবারের মধ্যে ১ লাখ ৩১ হাজার ৬৪৫ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। এতে প্রতিটি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার এককালীন ১০ থেকে ৩০ কেজি করে চাল পেয়েছে।

এ ছাড়া দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মধ্যে ২৯ কোটি ১৮ লাখ টাকার বেশি নগদ অর্থ বিতরণ করেছে মন্ত্রণালয়। এতে দুর্ঘটনায় নিহত বা আহত পরিবারের মাঝে ১০ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা এবং আহতদের ৫ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারকে সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৫০০ টাকা করে নগদ টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি (ইজিপিপি) বাস্তবায়নে সরকার ১ হাজার ৫০৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। দেশের ৫১ জেলার ৩৪০টি উপজেলায় এই কর্মসূচি চলমান রয়েছে।

শীতকালে গরিব ও অসহায়দের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণের জন্য মন্ত্রণালয় ৪১ কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ দিয়েছে। এর মধ্যে ১৯ কোটি টাকা খরচ হয়েছে কেবল কম্বল বিতরণে।

আবাসন সহায়তায় মুক্তিযোদ্ধা, প্রতিবন্ধী ও অতিদরিদ্রদের জন্য বাড়ি নির্মাণে বরাদ্দ দেওয়া হয় ৭৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা। এ ছাড়া বাড়ি নির্মাণে অনুদান বাবদ আরও ২৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।

প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের খাবার কেনার জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয় ২০ কোটি টাকা, যার মধ্যে ৩ কোটি টাকা ইতোমধ্যে খরচ হয়েছে। একইভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোতে পশুখাদ্য কেনার জন্য অতিরিক্ত ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় মন্ত্রণালয়, এর মধ্য থেকেও ৩ কোটি টাকা ইতোমধ্যে খরচ হয়েছে।

দুর্যোগের পরপরই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মাঝে শুকনো খাবার বিতরণের জন্য ৪৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। এ পর্যন্ত এর মধ্যে ৪৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে।

এদিকে বন্যাকবলিত মানুষের মাঝে নগদ ৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা বিতরণ করেছে সরকার।

অন্যদিকে ‘কাজের বিনিময়ে খাদ্য’ কর্মসূচির আওতায় গ্রামে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করেছে সরকার। এর মধ্যে রয়েছে গ্রামে নতুন রাস্তা নির্মাণ ও মেরামত, ড্রেন ও কালভার্ট নির্মাণ, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার মাঠে মাটি ভরাট এবং এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও এতিমখানার চারপাশে দেওয়াল তুলে দেওয়া।

গ্রামাঞ্চলের অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচির আওতায় নানা ধরনের উন্নয়নমূলক কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এটার মূল লক্ষ্য ছিল গ্রামীণ জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন।

এই কর্মসূচির অধীনে বাঁধ ও রাস্তাঘাট মেরামত করা হয়েছে। একইসঙ্গে, পানি নিষ্কাশনের জন্য নালা ও খালগুলো পুনরায় সংস্কার করা হয়েছে। মসজিদ, মন্দির, স্কুল ও অন্যান্য জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠানের সংস্কার কাজও এতে অন্তর্ভুক্ত ছিল।

এ ছাড়াও, জনস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে স্যানিটারি ল্যাট্রিন স্থাপন করা হয়েছে। গ্রামজুড়ে বাঁশ বা কাঠের ছোট ছোট সেতু তৈরি করা হয়েছে, যা মানুষের চলাচলের সুবিধা বাড়িয়েছে।

শিক্ষাক্ষেত্রে আধুনিকতার ছোঁয়া আনতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ল্যাপটপ এবং মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর সরবরাহ করা হয়েছে। গ্রামীণ জনপদে সৌর বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে সোলার স্ট্রিট লাইট এবং সোলার হোম সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা পেতে বজ্র নিরোধক দণ্ড ও আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে।

Shera Lather
Link copied!