মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: আগস্ট ১১, ২০২৫, ১১:৪৯ পিএম

আ.লীগ সরকারের গোপন তথ্য ফাঁস

দেশ ছিল ‘নজরদারির রাজ্য’

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: আগস্ট ১১, ২০২৫, ১১:৪৯ পিএম

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

বাংলাদেশে একটি শক্তিশালী ও আক্রমণাত্মক নজরদারি ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগের তথ্য সামনে এসেছে। আমদানির তথ্য এবং চুক্তিপত্র অনুসারে, ২০১৬ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে এই নজরদারি কাঠামো তৈরিতে কমপক্ষে এক হাজার ৩৮২ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। 

আর এই বিশাল কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রে ছিল জাতীয় টেলিযোগাযোগ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র (এনটিএমসি), পাশাপাশি পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট ও র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নও (র‍্যাব) অত্যাধুনিক সরঞ্জাম সংগ্রহে বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করেছে। এই ব্যবস্থাটি যেমন গণনজরদারি চালাতে সক্ষম, তেমনই নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করার জন্যও ব্যবহৃত হয়েছে।

সোমবার (১১ আগস্ট) দেশের জাতীয় সংবাদমাধ্যম ডেইলি স্টার-এর এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে (ইংরেজি সংস্করণ) এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

এনটিএমসি একা এই বিশাল ব্যয়ের সিংহভাগ অর্থাৎ ৬৫ শতাংশের বেশি (৯০৪ দশমিক ৩৯ কোটি টাকা) খরচ করেছে। এই নজরদারি নেটওয়ার্কের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো এনটিএমসি-র অধীনে তৈরি ‘ইন্টিগ্রেটেড লফুল ইন্টারসেপশন সিস্টেম (আইএলআইএস)’। দেশের ভেতর দিয়ে যাওয়া সমস্ত ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগের ডেটা সংগ্রহ, ডিক্রিপ্ট এবং সংরক্ষণ করতে সক্ষম এই সিস্টেম।

তথ্য থেকে জানা গেছে, এনটিএমসি ইয়ানা টেকনোলজিস থেকে ১৫টি ডিপপ্রোব মনিটর পোর্ট কিনেছে। এই পোর্টগুলো ব্যবহারকারীর অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারের তথ্য যেমন হোয়াটসঅ্যাপ, সিগন্যাল, টাইমস্ট্যাম্প, ডেটা ভলিউম, আইপি এড্রেস, যোগাযোগের ধরন এবং ব্যবহারকারীর আচরণ সনাক্ত করতে সক্ষম।

এছাড়া, একটি জিএসএম/সিগন্যালিং নেটওয়ার্ক মনিটরিং প্ল্যাটফর্মও মোতায়েন করা হয়েছে, যা ভয়েস কল, এসএমএ এবং মোবাইল ইন্টারনেট ট্রাফিক থেকে মেটাডেটা সংগ্রহ করে। এর মাধ্যমে এনটিএমসি বার্তার বিষয়বস্তু না দেখে ব্যবহারকারীর কার্যকলাপের ধরন দেখে প্রোফাইল তৈরি করতে পারে।

৪৫ দশমিক ১১ কোটি টাকায় ইকমট্রেড হোল্ডিংস প্রাইভেট লিমিটেড থেকে কেনা সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং সিস্টেমটি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের কার্যক্রম ট্র্যাক করতে সক্ষম।

ইকমট্রেডের বৈদেশিক বাণিজ্য ব্যবস্থাপক কামাল শাকিল গণমাধ্যমকে জানান, এই প্ল্যাটফর্মটি নেদারল্যান্ডস ভিত্তিক এক সরবরাহকারীর কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে এবং তারা কেবল পুনঃবিক্রেতা।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক ইয়ানা টেকনোলজিস ও তার সহযোগী প্রতিষ্ঠান ৫৪৬ দশমিক ৭ কোটি টাকার বিনিময়ে এই পরিকাঠামো স্থাপনে সহায়তা করে। চুক্তিতে বলা হয়েছে, ১০টি উপাদান নিয়ে গঠিত এই আইএলআইএস প্ল্যাটফর্মের লক্ষ্য হলো ‘জাতীয় নিরাপত্তার জন্য সক্রিয় বা নিষ্ক্রিয়ভাবে হুমকি সৃষ্টি করতে পারে এমন ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে প্রয়োজনীয় সব তথ্য সংগ্রহ, সংকলন, বিশ্লেষণ এবং আইন-প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে পৌঁছে দেওয়া’।

এই ব্যবস্থার একটি অংশে ‘অ্যাক্টিভ ইনট্রুশন সিস্টেম’ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যা ব্যবহারকারীর ডিভাইসে গোপনে ম্যালওয়্যার প্রবেশ করিয়ে সেটির সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে, এমনকি এনক্রিপ্ট করা তথ্যেও অ্যাক্সেস পেতে পারে। এর প্রধান উপাদানগুলোর মধ্যে রয়েছে-

যোগাযোগে বাধা দেওয়া (ইন্টারসেপশন): এই সিস্টেমটি বাংলাদেশের ভেতর থেকে উৎপন্ন, বাইরে থেকে আসা বা দেশের ওপর দিয়ে যাওয়া সব ধরনের ইলেকট্রনিক, ডেটা এবং মোবাইল যোগাযোগ (ফোন কল, এসএমএস, এবং মেসেজিং অ্যাপের বার্তা) আটকাতে সক্ষম।

গণ তথ্য সংগ্রহ: এটি দেশের জাতীয় ইন্টারনেট গেটওয়ে এবং ইন্টারনেট এক্সচেঞ্জ থেকে সমস্ত ইন্টারনেট ট্র্যাফিক সংগ্রহ করতে পারে। এজন্য কপার ও ফাইবার ট্যাপ মডিউল ব্যবহার করে ডেটা বিশ্লেষণ ও পর্যবেক্ষণের জন্য পাঠানো হয়।

ডিক্রিপশন ও টার্গেট প্রোফাইলিং: সিস্টেমটি এনক্রিপ্টেড সংযোগ যেমন এসএসএল (সিকিউর সকেটস লেয়ার) ভেঙে ফেলতে সক্ষম। এটি সুরক্ষিত ডেটা ডিক্রিপ্ট করে সেটিকে প্লেইনটেক্সট বা সাধারণ পাঠযোগ্য টেক্সটে পরিণত করে, তারপর আবার রি-এনক্রিপ্ট করে গন্তব্যে পাঠিয়ে দেয়। ফলে ব্যবহারকারী জানতেও পারে না যে তার তথ্য পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। এর ‘ডিপপ্রোব’ ইউনিটগুলো ব্যবহারকারীর আইপি অ্যাড্রেস, টাইমস্ট্যাম্প, কী অ্যাপ (হোয়াটসঅ্যাপ, সিগন্যাল) ব্যবহার করা হচ্ছে এবং যোগাযোগের ধরন বিশ্লেষণ করে একটি প্রোফাইল তৈরি করে।

ইউনিফাইড টার্গেট প্রোফাইলিং: আটকানো সমস্ত তথ্য একত্র করে এটি যেকোনো ব্যক্তির ৩৬০-ডিগ্রি চিত্র তৈরি করতে পারে, যেখানে তার যোগাযোগের সম্পূর্ণ গতিবিধি অন্তর্ভুক্ত থাকে।

অ্যাক্টিভ ইনট্রুশন সিস্টেম: এর সবচেয়ে ভয়ংকর উপাদান হলো ‘সক্রিয় অনুপ্রবেশ ব্যবস্থা’। এই সিস্টেমটি ব্যবহারকারীর কোনো হস্তক্ষেপ ছাড়াই লক্ষ্যবস্তুর ডিভাইসে (মোবাইল বা কম্পিউটার) গোপনে ম্যালওয়্যার বা স্পাইওয়্যার প্রবেশ করাতে পারে। এর মাধ্যমে কর্তৃপক্ষ ডিভাইসের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে এনক্রিপ্টেড ফাইল, মেসেজ এবং কন্টাক্ট লিস্ট দেখা।

লক্ষ্য-ভিত্তিক নজরদারি: এনটিএমসি যখন গণ নজরদারির ব্যবস্থা তৈরি করছিল, তখন পুলিশ এবং র‍্যাব নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুর ওপর নজরদারির জন্য বিশেষ সরঞ্জাম সংগ্রহ করছিল।

পুলিশের সরঞ্জাম: পুলিশ তাদের নজরদারির ক্ষমতা বাড়াতে উচ্চমানের আইএমএসআই ক্যাচার (যার মধ্যে বাইকে বহনযোগ্য ইউনিটও ছিল), জিপিএস ট্র্যাকার, স্যাটেলাইট যোগাযোগ বিশ্লেষক এবং স্পিকার শনাক্তকরণ সিস্টেম কিনেছে।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো তারা ‘ম্যান-ইন-দ্য-মিডল’ সরঞ্জাম সংগ্রহ করেছে, যা এনক্রিপ্টেড যোগাযোগ ব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলতে এবং লক্ষ্যবস্তুর ডিভাইসে স্পাইওয়্যার প্রবেশ করাতে বিশেষভাবে কার্যকর। শুধু আইএমএসআই ক্যাচারের জন্যই পুলিশ প্রায় ৪৩ কোটি টাকা ব্যয় করেছে।

র‍্যাবের সরঞ্জাম: র‍্যাব মূলত মোবাইল ও যানবাহনে স্থাপনযোগ্য জ্যামার, ব্যাকপ্যাকে বহনযোগ্য আইএমএসআই ক্যাচার এবং মোবাইল কমিউনিকেশন অ্যানালাইজার সংগ্রহ করেছে। এই সরঞ্জামগুলো নির্দিষ্ট এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্লক করতে এবং কোনো ব্যক্তির গতিবিধি ও যোগাযোগের ওপর নজর রাখতে ব্যবহৃত হতো। অভিযোগ রয়েছে, রাজনৈতিক সমাবেশের সময় প্রায়শই এই জ্যামার ব্যবহার করে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হতো।

আন্তর্জাতিক সরবরাহকারী ও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা

এই নজরদারি সরঞ্জামগুলো বিশ্বের অন্তত ২৩টি দেশের ২০টি কোম্পানি থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্স এবং কানাডার মতো দেশও রয়েছে, যেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী দেশগুলোতে নজরদারি সরঞ্জাম রপ্তানির ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা এড়াতে সিঙ্গাপুর, সাইপ্রাস এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো দেশগুলোকে মধ্যস্থতাকারী বা ‘ক্লিয়ারিং হাউস’ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল।

‘ইসরায়েলি’ সংযোগ

সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো বাংলাদেশ যেসব কোম্পানি থেকে সরঞ্জাম কিনেছে, তার মধ্যে অন্তত তিনটির সঙ্গে ‘ইসরায়েল’-এর সরাসরি সংযোগ রয়েছে। যদিও বাংলাদেশের সঙ্গে ‘ইসরায়েল’-এর কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই।

প্যাসিটোরা: এই সাইপ্রিয়ট কোম্পানিটি আসলে ‘ইসরায়েলি’ স্পাইওয়্যার ফার্ম ‘উইস্পিয়ার’-এর নতুন নাম। এর প্রতিষ্ঠাতা তাল জনাথন দিলিয়ান একজন প্রাক্তন ‘ইসরায়েলি’ সেনা কর্মকর্তা এবং বর্তমানে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার অধীনে রয়েছেন। এনটিএমসি এই প্যাসিটোরা থেকে ৫২ দশমিক ১ কোটি টাকার একটি পোর্টেবল নজরদারি ব্যবস্থা কিনেছে।

টিয়ার্সেক: এই কোম্পানির পরিচালক হলেন ‘ইসরায়েলি’ নজরদারি উদ্যোক্তা ইয়ারন বারাৎজ।

টেলিডাইন: এই মার্কিন কোম্পানির ‘ইসরায়েল’-এ একটি গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্র রয়েছে।

এই কোম্পানিগুলো থেকে সরঞ্জাম কেনার ঘটনা প্রমাণ করে যে, নিষেধাজ্ঞা এড়াতে এবং উৎস গোপন রাখতে জটিল আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা হয়েছিল। বিশেষজ্ঞদের মতে, এর অর্থ মূলত পুরো ডিভাইসটি ক্যাপচার করা।

আইনি বৈধতা এবং অপব্যবহারের অভিযোগ

বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশের নজরদারি ব্যবস্থা মূলত ঔপনিবেশিক যুগের আইনের ওপর ভিত্তি করে তৈরি, যা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে পর্যাপ্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা ছাড়াই ব্যাপক ক্ষমতা প্রদান করে।

অপরাধ দমন এবং জাতীয় নিরাপত্তার কথা বলা হলেও, এই শক্তিশালী নজরদারি ব্যবস্থাটি মূলত রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, সমালোচক এবং সাধারণ নাগরিকদের ওপর নজরদারি ও দমনের জন্য ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এর মাধ্যমে নাগরিকদের সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত গোপনীয়তার অধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে। যদিও এই সিস্টেমের মাধ্যমে ঠিক কতজন নাগরিককে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল, তার পূর্ণাঙ্গ চিত্র এখনও অস্পষ্ট।

দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের নজরদারি পরিস্থিতি নিয়ে গবেষণা করা প্রযুক্তি-ভিত্তিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান টেক গ্লোবাল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক সাবহানাজ রশিদ দিয়া বলেন, এই সিস্টেমের মাধ্যমে সরকার ব্যবহারকারীর ডিভাইসে ম্যালওয়্যার প্রবেশ করাতে পারে এবং এর মাধ্যমে কর্তৃপক্ষ প্রায় পুরো ডিভাইসেই প্রবেশাধিকার পেতে পারে।

তিনি আরও বলেন, ‘এক ধরনের ম্যালওয়্যার রয়েছে যা কীবোর্ডে কী টাইপ করা হচ্ছে তা ট্র্যাক করতে পারে। আরেকটি সফটওয়্যার আইওএস (iOS) সিস্টেমে ব্যাকডোর তৈরি করে বার্তা পড়তে এবং পরিচিতি তালিকা ডাউনলোড করতে পারে।’

আইএলআইএস প্ল্যাটফর্মের শেষ উপাদান হিসেবে একটি স্যাটেলাইট ফোন ইন্টারসেপশন সিস্টেমও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

শেখ হাসিনার শাসনামলে এই সিস্টেমের মাধ্যমে নাগরিকরা কতটা নজরদারির লক্ষ্যবস্তু হয়েছিলেন—সে বিষয়ে সংবাদমাধ্যমটির কাছে কোনও তথ্য নেই। বর্তমানে এই সিস্টেম কীভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে, তাও স্পষ্ট নয়।

ডেইলি স্টার-কে দেওয়া একটি পুনর্লিখিত জবাবে এনটিএমসি স্বীকার করেছে যে তারা আইএলআইএস সিস্টেম স্থাপন করেছে এবং এর কিছু উপাদান এখনো গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ও তদন্তের কাজে সক্রিয় রয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ‘সংস্কারের অংশ হিসেবে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা এনটিএমসি নাগরিকদের গোপনীয়তা রক্ষা এবং আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে টেলিযোগাযোগ বাধা সম্পর্কিত একটি আইন বা অধ্যাদেশ প্রণয়নের কাজ করছে।’

Shera Lather
Link copied!