ঢাকা শুক্রবার, ১৫ আগস্ট, ২০২৫

পদত্যাগ করতে পারেন প্রধান উপদেষ্টা: ফুয়াদ

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ১৫, ২০২৫, ০৬:০৯ পিএম
এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। ছবি- সংগৃহীত

আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেছেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নির্বাচনে না গেলে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগ করতে পারেন। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টক শোতে অংশ নিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।

ফুয়াদ টক শোতে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যেমন ১৯৭৩ এবং ২০১৮ সালে একতরফা নির্বাচন করেছে এবং তা আনফেয়ারলি হয়েছে, এবারের নির্বাচন সুষ্ঠু ও ফেয়ার হলেও কিছু আসনে একতরফা হওয়ার সম্ভাবনা আছে। বিশেষ করে বিএনপির জন্য এটা বড় চ্যালেঞ্জ, কারণ ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দলের সব আসনে প্রার্থী দেওয়ার মতো উপযুক্ত প্রার্থী নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বও বড় সমস্যা। ১৩০-১৩৫ আসনে বিদ্রোহী প্রার্থী আছে, যারা একে অপরের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানে রয়েছে। সব দল যদি একত্রিত হয়, তবুও কিছু আসনে প্রার্থী দেওয়া কঠিন হবে। বিএনপির সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো নিজেদের অভ্যন্তরীণ অমিল।’

ফুয়াদ জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও রাজনৈতিক সংস্কার নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা অনেক বিষয় নিয়ে ইতোমধ্যেই একমত হয়েছি। তবে কেন ২০৩১ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে? উদাহরণস্বরূপ, নারীদের আসন ৫০ থেকে ১০০ করতে চাইলে তা কেন এখনই করা যাবে না? আমরা যদি একমত হই যে, কেউ দুই টার্মের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবে না, তা কেবল ভবিষ্যতের জন্য কেন রাখা হবে? এই পরিবর্তনগুলো এখনই প্রয়োজন।’

তিনি উল্লেখ করেন, ‘সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে গেলেও বিএনপির একতরফা বিজয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। একমুখী নির্বাচনের আশঙ্কা আছে। জামায়াত এবং চরমোনাই বিএনপির পরে সবচেয়ে বড় দল হিসেবে পিআর ইস্যুতে সংসদে প্রভাবশালী থাকতে চাইলে, এবং এনসিপি সংস্কার ও জুলাই সনদ বাস্তবায়নে দৃঢ় অবস্থানে থাকলে, নির্বাচন একতরফা হওয়ার দিকে যেতে পারে।’

ফুয়াদ বলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে সরকারের ও বিএনপির সামনে একটি বিকল্প থাকবে। যারা যুগপৎ আন্দোলনের মাধ্যমে আসন নিয়েছে, তারা বিরোধী দলের দিকে যেতে পারে। তবে এটি দেশের ও বিএনপির জন্য কতটা সম্মানজনক হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এ ছাড়া, অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে পারবে কি না, তাও একটা বড় বিষয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘ড. ইউনূস দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে আগেই চিন্তা করেছেন। যদি পরিস্থিতি অনুকূলে আসে, তিনি দায়িত্ব ছেড়ে দিতে পারেন। এরপর নির্বাচনকালীন একটি সরকার করে দিয়ে তিনি বিদায় নিতে পারেন।’