অবশেষে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সংসদ নির্বাচন হবে। আর নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা হবে চলতি বছরের ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) দুপুর আড়াইটার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে এই রোডম্যাপ ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
এ ছাড়াও রোডম্যাপে ২৪টি পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তহে রাজনৈতিক দল ও অংশীজনের সঙ্গে সংলাপ হবে।
পাশাপাশি সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ, ভোটার তালিকা চূড়ান্ত, রাজনৈতিক দল নিবন্ধন ও দেশীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন চূড়ান্ত করার বিষয়গুলোও রোডম্যাপে রেখেছে ইসি।
তিনি আরও জানান, প্রতি ভোটকেন্দ্রে ৬০০ পুরুষ এবং ৫০০ নারী ভোটারের উপস্থিতি রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে। ভোটগ্রহণের ৩০ দিন আগে আমরা এই তথ্য প্রকাশ করব। সীমানা পুনর্নির্ধারণের শুনানি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। আশা করছি, ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সংসদীয় আসনের সীমানা চূড়ান্ত হবে।
এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে চার কমিশনার ও ইসি সচিব এক বৈঠকে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ অনুমোদন করেন।
ইসির কর্মকর্তারা জানান, রোডম্যাপে নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক কাজগুলো কোন সময়ের মধ্যে শেষ হবে তা বিস্তারিতভাবে উল্লেখ থাকবে। এই সময়সূচি অনুসারে নির্বাচনের সংশ্লিষ্ট কাজ সম্পন্ন করা হবে।
ইসি সূত্র জানায়, রোডম্যাপে সেপ্টেম্বর মাসে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক শুরু করার ঘোষণা দিতে যাচ্ছে কমিশন। এ ছাড়া আইন সংস্কার, সংসদীয় আসনের সীমানা চূড়ান্তকরণ, নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধন, পর্যবেক্ষক নিবন্ধন, ভোটার তালিকা হালনাগাদ, নির্বাচনি সামগ্রী ক্রয়, প্রবাসীদের ভোটাধিকার ও ভোটের ব্যালট-ফরমসহ বিভিন্ন ধরনের খাম মুদ্রণ, ভোটকেন্দ্র চূড়ান্ত করা, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ এবং নির্বাচনি প্রশিক্ষণ কোন সময়ের মধ্যে শেষ করা হবে তা উল্লেখ থাকবে রোডম্যাপে। তবে রোডম্যাপে নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা এবং ভোটের তারিখ উল্লেখ থাকবে না।
তবে রোডম্যাপে ভোটের তারিখ বা তপশিল ঘোষণা সরাসরি উল্লেখ করা হবে না।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন