রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৫, ০৫:২৮ পিএম

জাতীয় স্বার্থে বস্তুনিষ্ঠ ও জবাবদিহিমূলক গণমাধ্যম অপরিহার্য: পরিবেশ উপদেষ্টা

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৫, ০৫:২৮ পিএম

গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন প্রতিবেদন পর্যালোচনাবিষয়ক মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন পরিবেশ উপদেষ্টা। ছবি- সংগৃহীত

গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন প্রতিবেদন পর্যালোচনাবিষয়ক মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন পরিবেশ উপদেষ্টা। ছবি- সংগৃহীত

জাতীয় স্বার্থে বস্তুনিষ্ঠ ও জবাবদিহিমূলক গণমাধ্যম অপরিহার্য। এটি অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ চাওয়া বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

তিনি বলেন, গণমাধ্যমকে জাতীয় স্বার্থে জবাবদিহিমূলক করা অত্যন্ত জরুরি। গণমাধ্যমের প্রতি জনগণের আস্থা ও গ্রহণযোগ্যতা বাড়লেই এর স্থায়িত্ব আসবে। তাই গণতন্ত্রের স্বার্থে গণমাধ্যমকে বস্তুনিষ্ঠ ও জবাবদিহিমূলক হতে হবে।

রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন পর্যালোচনা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য সরকার ইতোমধ্যে একটি কমিটি গঠন করেছে। এই কমিটিতে পাঁচ জন উপদেষ্টা রয়েছেন, যারা শুধু কমিশনের সুপারিশ নয়, সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ও পর্যালোচনা করছেন। যতটুকু সংস্কার জনসমর্থন, রাজনৈতিক সমর্থন ও সংশ্লিষ্ট সেক্টরের ঐক্যমতের ভিত্তিতে হবে, ততটুকুই টেকসই হবে। শুধুমাত্র কাগজে পরিবর্তন আনলে স্থায়িত্ব আসবে না, এর জন্য প্রয়োজন মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তন।

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখছে, তাই আলাদা গণমাধ্যম কমিশন গঠন করেছে। সুপারিশের সারাংশ ও বাস্তবায়নের পথরেখা তৈরির কাজ চলছে। সাংবাদিকদের পেশাগত উৎকর্ষতা, সেল্ফ-রেগুলেশন, সেক্টরাল ইউনিটি এবং গণমাধ্যমকে অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার সুযোগ তৈরির বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে আলোচিত হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ‘গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ যদি আমরা সবাই মিলে বাস্তবায়ন করতে পারি, তাহলে সেটিই হবে টেকসই। সরকার সহায়তা করবে, কিন্তু টিকিয়ে রাখার দায়িত্ব গণমাধ্যমকেই নিতে হবে। সরকার মব জাস্টিসের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে এবং সংশ্লিষ্টদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।’

সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) অনারারি নির্বাহী পরিচালক ব্যারিস্টার সারা হোসেন। ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের ট্রাস্টি সায়িদ আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও বক্তব্য দেন সেন্টারের সদস্য সচিব ইলিয়াস হোসেন এবং বিবিসি মিডিয়া অ্যাকশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর মো. আল মামুন।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নির্বাহী সদস্য গোলাম পারভেজ রেজা। অনুষ্ঠানের মুক্ত আলোচনা পর্বে বিভিন্ন মিডিয়া ও গণমাধ্যম সংগঠনের প্রতিনিধিরা বক্তব্য ও মতামত তুলে ধরেন।

Link copied!