বুধবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৯, ২০২৫, ০৮:৫০ পিএম

লিবিয়ার উপকূলে নৌকাডুবি, বাংলাদেশিসহ উদ্ধার ৯০

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৯, ২০২৫, ০৮:৫০ পিএম

ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

লিবিয়ার উপকূল থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টাকালে একটি নৌকা উল্টে ১৮ জন অভিবাসন প্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে৷ এই ঘটনায় বাংলাদেশিসহ ৯০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি।

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স। 

রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, সোমবার (২৭ অক্টোবর) রাতে লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলি থেকে প্রায় ৭৬ কিলোমিটার পশ্চিমে উপকূলীয় শহর সাবরাথার  অভিবাসীবাহী নৌকাটি উল্টে যাওয়ার খবর পাওয়ার পরই উদ্ধার অভিযান শুরু হয়৷ মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত চলে উদ্ধার কাজ৷ 

সংস্থাটি জানিয়েছে, মরদেহগুলো সুরমান বন্দরের কাছাকাছি উপকূল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে৷

জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) জানিয়েছে, লিবিয়ার আল জাওইয়া থেকে যাত্রা করা কাঠের নৌকাটি সমুদ্রে ভাসার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই উচ্চ ঢেউয়ের কারণে উল্টে যায়৷ এতে ১৮ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী মারা গেছেন৷

রেড ক্রিসেন্টের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, জীবিত উদ্ধার হওয়া অভিবাসন প্রত্যাশীর সংখ্যা ৯০ জন৷ কিন্তু আইওএম বলেছে, জীবিত উদ্ধার হওয়া অভিবাসন প্রত্যাশীর সংখ্যা ৬৪৷ এই ৬৪ জনের মধ্যে ১৮ জন হলেন বাংলাদেশি৷ সুদানের নাগরিক রয়েছেন ৩১ জন, তাদের একজন নারী ও এক শিশু৷ অন্যদের মধ্যে ১২ জন পাকিস্তানি ও তিন জন সোমালিয়ান বলেও জানিয়েছে আইওএম৷

যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে কোনো বাংলাদেশি নাগরিক আছেন কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে রেড ক্রিসেন্ট৷ 

আইওএম জানায়, নিহতদের জাতীয়তা সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি৷ এই নৌকাডুবি আমাদের আবারও স্মরণ করিয়ে দেয়, নিরাপত্তা ও সুযোগের খোঁজে বিপজ্জনক সমুদ্রযাত্রায় নামা মানুষদের কতটা ভয়াবহ ঝুঁকির মুখোমুখি হতে হয়৷

এই মাসের শুরুতে লিবিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পরিচালিত একটি চিকিৎসাকেন্দ্র জানায়, তিউনিশিয়ার সীমান্তের কাছে লিবিয়ার জুওয়ারা ও রাস ইজদির শহরের মধ্যবর্তী উপকূলীয় এলাকা থেকে দুই সপ্তাহে অন্তত ৬১ অভিবাসন প্রত্যাশীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে৷

সেন্ট্রাল ভূমধ্যসাগরীয় পথটি বিশ্বের অন্যতম প্রাণঘাতী অভিবাসন রুট হিসেবে পরিচিত৷

আইওএম বলেছে, চলতি বছর সংস্থাটির ‘মিসিং মাইগ্রেন্টস প্রজেক্ট’ অনুযায়ী এই রুটে এক হাজার ৪৬ অভিবাসন প্রত্যাশী মারা গেছেন বা নিখোঁজ হয়েছেন৷ তাদের মধ্যে ৫২৭ জন মারা গেছেন বা নিখোঁজ হয়েছেন লিবিয়ার উপকূলে৷

উদ্ধার হওয়া অভিবাসন প্রত্যাশীদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যসেবা, সামাজিক সহায়তা এবং প্রয়োজনীয় সেবা নিশ্চিত করতে লিবিয়ার স্থানীয় অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করছে বলেও জানিয়েছে আইওএম৷

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!