আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। তবে দেশের নির্বাচন প্রক্রিয়া ব্যাহত করতে দেশ-বিদেশ থেকে ষড়যন্ত্র চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
শফিকুল আলম স্থানীয় সময় সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এই কথা বলেন। প্রেস সচিব বলেন, সরকার এই পরিস্থিতি সম্পর্কে সম্পূর্ণভাবে অবগত এবং সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
শফিকুল আলম বলেন, ‘দেশকে অস্থিতিশীল করে ভোট প্রক্রিয়া ব্যাহত করার যেকোনো সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সরকার সর্বোচ্চ সতর্ক। যারা কোটি কোটি ডলার বিদেশে নিয়ে গেছেন এবং দেশ ত্যাগ করেছেন, তারা বিদেশ থেকে দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে চেষ্টা করছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘পতিত স্বৈরাচার, তাদের দোসর এবং আন্তর্জাতিক মিত্ররা মিলিত হয়ে আগামী নির্বাচনের পথ বন্ধ করার কৌশল গ্রহণ করেছে। তাদের উদ্দেশ্য হলো ভোট প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করা এবং জনগণের আস্থা কমানো। তবে সরকার বিষয়টি সজাগ নজরে রাখছে এবং সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে পদক্ষেপ নিচ্ছে।’
প্রেস সচিব আরও জানিয়েছেন, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভুয়া তথ্য ও মিথ্যা প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এই বিষয়টি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আন্তর্জাতিক নেতাদের কাছে তুলে ধরছেন, যাতে বিশ্বের গণতান্ত্রিক সম্প্রদায় এ বিষয়ে সচেতন থাকে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যে, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করা হবে। এই নির্বাচন হবে দেশের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার জন্য এক নতুন মাইলফলক, যা জনগণের ভোটাধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করবে।’
শফিকুল আলম আরও উল্লেখ করেন, ‘সরকার সবসময় জনগণের স্বার্থ ও দেশের স্থিতিশীলতা রক্ষা করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। যারা বিদেশ থেকে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে, তাদের কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না। নির্বাচনের সময় সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসন এবং নিরাপত্তা বাহিনীও প্রস্তুত থাকবে।’
তিনি সাংবাদিকদের আশ্বাস দিয়েছেন যে, ভোট প্রক্রিয়া যাতে কোনোভাবেই বাধাগ্রস্ত না হয়, তা নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকার সর্বোচ্চ মনোযোগ ও সতর্কতা অবলম্বন করছে।