ন্যায্যতার ভিত্তিতে ‘বৈষম্যমুক্ত’ পে স্কেল ঘোষণা করার দাবিতে আন্দোলনে নামছেন সরকারি কর্মচারীরা। এ নিয়ে শুক্রবার (১০ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করবেন তারা।
এতে ৫ দফা দাবি উত্থাপণ করা হবে। ‘১১–২০ গ্রেড সরকারি চাকুরিজীবী ফোরাম’ ব্যানারে এসব দাবি ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়নে সরকারকে আল্টিমেটাম দেওয়া হবে বলে ফোরামের নেতারা জানিয়েছেন।
৫ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে:
- ন্যায্যতার ভিত্তিতে বৈষম্যমুক্ত পে স্কেল ঘোষণা;
- হরণকৃত টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহাল;
- এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি বাস্তবায়ন;
- বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় ভাতাসমূহ পুনর্নির্ধারণ;
- শতভাগ পেনশন প্রবর্তন।
তাদের অভিযোগ, বেতন বৈষম্যের কারণেই তাদের পে স্কেল পেতে এত দীর্ঘ সময় লেগেছে। তারা মনে করেন, যদি বৈষম্য না থাকত, তবে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা আগেই বেতন বৃদ্ধির দাবি জানাতেন এবং এর ফলে সাধারণ কর্মচারীরা আরও অন্তত দুটি পে স্কেল পেয়ে যেতেন।
তারা আরও বলছেন, বর্তমান কাঠামোয় কর্মকর্তাদের জীবনযাত্রায় কোনো অসুবিধা না হওয়ায়, তারা বেতন স্কেল নিয়ে ভাবেন না। কিন্তু ছোট কর্মচারীদের সংসার চালানো এখন রীতিমতো চ্যালেঞ্জ।
ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘আমাদের দাবি থাকবে ন্যায্যতার ভিত্তিতে বৈষম্যমুক্ত পে স্কেল ঘোষণার।’
এ ছাড়া সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ বেতন ১:৪ অনুপাত করার দাবি থাকবে। এ ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১ লাখ ২৮ হাজার এবং সর্বনিম্ন বেতন ৩২ হাজার করার প্রস্তাবনা থাকবে বলেও জানান তিনি।
মাহমুদুল হাসান বলেন, তারা বর্তমান গ্রেড কাঠামো ভেঙে ১২ থেকে ১৫টি গ্রেডে পুনর্বিন্যাসের প্রস্তাব দেবেন, যাতে কর্মচারীদের মধ্যে পদোন্নতি ও সুবিধা বণ্টনে সামঞ্জস্য আসে।