অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল জানিয়েছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আওতায় দায়ের হওয়া সব মামলা এবার বাতিল করা হচ্ছে। এর ফলে সাজাপ্রাপ্ত ও মামলায় অভিযুক্ত সকলেই দায়মুক্ত পাবেন এবং এমনকি চলমান তদন্তও স্থগিত করা হবে।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এই তথ্য জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা।
তিনি জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার (০৯ অক্টোবর) উপদেষ্টা পরিষদের সভায় ২০১৮ সালের ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের অধীনে দায়ের হওয়া সব মামলা (স্পিচ অফেন্স) বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ফলে সাজাপ্রাপ্ত ও অভিযুক্তরা সকলেই মামলা থেকে মুক্তি পাবেন।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর ৫০ ধারা সংশোধনের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সভায় মোট ১১টি অধ্যাদেশ এবং ৩টি প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে।
সংশোধিত ধারায় ৫০-এর উপ-ধারা (৪)-এর পর নতুন উপ-ধারা (৪ক) যুক্ত করা হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, রহিত হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮-এর ২১, ২৪, ২৫, ২৬, ২৭, ২৮, ২৯ ও ৩১ ধারা এবং সংশ্লিষ্ট অপরাধে চলমান মামলা, তদন্ত বা কার্যক্রম বাতিল বলে গণ্য হবে। এসব ধারার অধীনে আদালত বা ট্রাইব্যুনালে প্রদত্ত সব দণ্ড ও জরিমানাও বাতিল হিসেবে গণ্য হবে।
ডিজিটাল অপরাধ দমনে ২০১৮ সালে প্রণীত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন শুরু থেকেই ব্যাপক সমালোচিত হয় এর নিবর্তনমূলক ধারার কারণে। পরবর্তীতে ২০২৩ সালে কিছু ধারা সংশোধন করে নামকরণ করা হয় সাইবার নিরাপত্তা আইন। আর অন্তর্বর্তী সরকার এসে আরও সংশোধন এনে এটিকে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশে পরিণত করে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন