বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী এবং গ্রামীণ কল্যাণ হেলথকেয়ার সার্ভিসের মধ্যে এক গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যসেবা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তির মাধ্যমে আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্য, অঙ্গীভূত ও সাধারণ আনসার, ভিডিপি সদস্য এবং তাদের পরিবারবর্গ উন্নত, সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা পাবেন।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
চুক্তির আওতায় সদস্য ও তাদের পরিবারবর্গ গ্রামীণ কল্যাণ হেলথকেয়ার সার্ভিসের দেশব্যাপী ৩৩ জেলায় অবস্থিত ১৪৪টি স্থায়ী চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিশেষ প্যাকেজের আওতায় চিকিৎসাসেবা নিতে পারবেন। এসব সেবার মধ্যে রয়েছে প্যাথলজি, ডায়াগনস্টিক ও হরমোন সম্পর্কিত ৬৫ প্রকার আধুনিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা যেমন ইসিজি, আল্ট্রাসনোগ্রাম, সিবিসি টেস্ট, ইএনটি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় পরীক্ষা। এ ছাড়া, সেকেন্ডারি হাসপাতালসহ ভ্রাম্যমান চিকিৎসা কেন্দ্রের মাধ্যমে অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ গ্রহণের সুবিধাও থাকবে।
বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি পূর্বে গ্রামীণ ডিজিটাল হেলথকেয়ার এবং ল্যাবএইড গ্রুপ-এর সাথে স্বাস্থ্যসেবা চুক্তি সম্পাদনের মাধ্যমে প্রান্তিক পর্যায়ের সদস্যদের কল্যাণে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। ‘সুখী’ অ্যাপের মাধ্যমে দেশের যেকোনো স্থান থেকে সহজে স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের এই ডিজিটাল প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে সদস্যদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। নতুন এ চুক্তি সেই স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে আরও বিস্তৃত ও গতিশীল করবে, যা সদস্যদের বিলিঙের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে।
সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ বলেন, আনসার-ভিডিপি যেমন দেশের তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করে তেমনি গ্রামীণ কল্যাণের স্বাস্থ্যসেবাও তৃণমূলে বিস্তৃত। এই চুক্তির মাধ্যমে আনসার-ভিডিপি সদস্যরা সহজেই দোরগোড়ায় মানসম্মত চিকিৎসা সুবিধা পাবেন, যা তাদের কর্মক্ষমতা ও মনোবল বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
গ্রামীণ গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. আশরাফুল হাসান বলেন, ‘বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপির মতো সুবৃহৎ বাহিনীর সঙ্গে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমে অংশীদার হতে পারা আমাদের জন্য এক গৌরবের বিষয়। আমরা আশা করি, এই উদ্যোগ বাহিনীর সদস্যদের কল্যাণে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে।’
অনুষ্ঠানে বাহিনীর উপ-মহাপরিচালক (প্রশাসন) কর্নেল মো. ফয়সাল আহাম্মদ ভুঁইয়া, উপ-মহাপরিচালক (অপারেশন্স) মো. সাইফুল্লাহ রাসেল, উপ-মহাপরিচালক (প্রশিক্ষণ) মো. রফিকুল ইসলাম, এবং গ্রামীণ গ্রুপের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
