শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৪, ২০২৫, ০৮:৪৮ পিএম

বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার প্রতিশ্রুতি ক্রিস্টেনসেনের

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৪, ২০২৫, ০৮:৪৮ পিএম

যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন। ছবি- সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন। ছবি- সংগৃহীত

বাংলাদেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত করা হলে কী কাজ করবেন তা তুলে ধরেছেন ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন, যাকে রাষ্ট্রদূত হিসেবে ঢাকায় নিযুক্ত করার জন্য মনোনীত করা হয়েছে। সিনেটের পররাষ্ট্র সম্পর্কবিষয়ক কমিটিকে তিনি আশ্বস্ত করেন, রাষ্ট্রদূত হলে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আরও দৃঢ় করবেন। 

ওয়াশিংটন ডিসিতে বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) মনোনয়ন শুনানিতে অংশ নিয়ে ক্রিস্টেনসেন আরও বলেছেন, ‘যদি (রাষ্ট্রদূত হিসেবে) অনুমোদন পাই, তাহলে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের দলকে নেতৃত্ব দিয়ে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার এবং গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত তার ভবিষ্যৎ উত্তরসূরির সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্ক গড়ে তুলব, যাতে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হয়।’

ভার্জিনিয়ার বাসিন্দা ক্রিস্টেনসেন সিনিয়র ফরেন সার্ভিসের একজন ক্যারিয়ার সদস্য। তিনি ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিষয়ক কাউন্সেলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এখন অনুমোদন পেলে তিনি বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাম্বাসাডর এক্সট্রা-অর্ডিনারি অ্যান্ড প্লেনিপোটেনশিয়ারি হিসেবে দায়িত্ব নেবেন।

ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘উজ্জ্বল ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের পথে বাংলাদেশের যাত্রায় যুক্তরাষ্ট্র পাশে থাকবে।’

‘২০২৪ সালের আগস্টে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে আন্দোলনের মাধ্যমে ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা একটি সরকারের পতন হয়। আগামী বছরের শুরুতে বাংলাদেশের জনগণ ভোটের মাধ্যমে নতুন সরকার ও নতুন পথ বেছে নেবে, যা হবে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন’, যোগ করেন ক্রিস্টেনসেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের কৌশলগত অবস্থানের কারণে এটি একটি উন্মুক্ত, সুরক্ষিত ও সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।

‘আমার ফরেন সার্ভিস জীবনে বাংলাদেশ বিষয়ে মার্কিন নীতি নিয়ে ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে, যার মধ্যে ঢাকায় আমার পূর্ববর্তী দায়িত্ব পালনও অন্তর্ভুক্ত। তাই আমি এর গুরুত্ব এবং এখানে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ সম্পর্কে ভালোভাবে অবগত’, বলেন ক্রিস্টেনসেন।

তিনি আরও বলেন, নতুন এশীয় টাইগার হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সম্ভাবনায় এগিয়ে যাচ্ছে। ‘অনুমোদন পেলে আমি যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়িক সুযোগ বাড়াতে, বাণিজ্য বাধা ও ঘাটতি কমাতে এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে কাজ করব।’

এ সময় রোহিঙ্গা ইস্যুতেও কথা বলেন ক্রিস্টেনসেন। তিনি বলেন, গত আট বছর ধরে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শরণার্থী জনগোষ্ঠী রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে আসছে।

‘অনুমোদন পেলে আমি বাংলাদেশ সরকার, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সঙ্গে মিলে রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই ও কার্যকর সমাধানে কাজ করব’, প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

ক্রিস্টেনসেন আরও বলেন, ‘যদি অনুমোদন পাই, তাহলে বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের দক্ষ নারী-পুরুষদের নেতৃত্ব দেওয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ অংশীদারত্ব এগিয়ে নেওয়া আমার জন্য সম্মানের বিষয় হবে। আজ আমাকে সাক্ষ্য দেওয়ার সুযোগ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। আমি আপনাদের প্রশ্নের অপেক্ষায় আছি।’

Link copied!