১৫ নভেম্বর নির্ধারিত ছিল ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) নির্বাচন। হঠাৎ অনিবার্য কারণ দেখিয়ে নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণা দেন নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান হাসান হাফিজ। খবরটি ছড়িয়ে পড়লে রাতেই জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে হুঁশিয়ারি দেন বিভিন্ন প্যানেলের প্রার্থীরা। ওইদিনই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে এবং শনিবারের (২৫ অক্টোবর) মধ্যে এ বিষয়ে ঘোষণা না এলে কঠোর আন্দোলনের পাশাপাশি আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সংঘবদ্ধ প্রার্থীরা।
সংবাদ সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী দিদারুল আলম বলেন, নির্বাচনের ঘোষিত শিডিউল অনুযায়ী ইতোমধ্যে মনোনয়ন ফরম বিক্রি ও জমা হয়ে গেছে। ১০০ জনের বেশি প্রার্থী বিভিন্ন পদে মনোনয়ন ক্রয় ও জমা দিয়েছেন। সবাই উৎসবমুখর পরিবেশে প্রচারও চালাচ্ছেন। অথচ কোনো কারণ ছাড়াই হঠাৎ নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণা দেখে আমরা হতভম্ব। ডিইউজের গঠনতন্ত্রে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি ছাড়া এভাবে নির্বাচন বাতিলের নিয়ম উল্লেখ নেই। কিন্তু নির্বাচন স্থগিতের জন্য ‘অনিবার্য কারণ’ দেখানো হয়েছে। যার কোনো ভিত্তি নেই। আমরা এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবশ্যই যথাসময়ে নির্বাচন হতে হবে।
সাংগঠনিক সম্পাদক পদপ্রার্থী ডিএম আমিরুল ইসলাম ওমর বলেন, ‘অনিবার্য কারণ’ বলে কোনো কারণ নেই। কী জন্য, কার ইশারায় নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে নির্বাচন কমিশনকে অবশ্যই সে বিষয়ে স্পষ্ট করতে হবে। সুনির্দিষ্ট কারণ দেখাতে পারলে ভিন্ন কথা, নইলে ১৫ নভেম্বরেই নির্বাচন হতে হবে।
জনকল্যাণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ইস্রাফিল ফরাজী বলেন, শনিবার সন্ধ্যার মধ্যে নির্বাচন স্থগিতের এই অবৈধ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে। নইলে পেশাদার সাংবাদিকদের নিয়ে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তোলার পাশাপাশি কমিশনের বিরুদ্ধে আদালতেরও দ্বারস্থ হব।
নির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী কেফায়েত শাকিল বলেন, সাংবাদিক ইউনিয়নে প্যানেলভিত্তিক নির্বাচনের মাধ্যমে ডিইউজেকে দলীয় রাজনীতির অংশ বানিয়ে ফেলা হয়েছে। রাজনৈতিক দল থেকে সাংবাদিক সংগঠনকে নিয়ন্ত্রণের অংশ হিসেবে দলীয় সিদ্ধান্তেই এই নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র চলছে। নতুন বাংলাদেশে ডিইউজেকে সংস্কার করতে হবে। পূর্বঘোষিত তারিখ ১৫ নভেম্বরই নির্বাচন হতে হবে। নইলে কঠোর আন্দোলনে নামবে পেশাদার সাংবাদিকরা।
প্রচার সম্পাদক পদপ্রার্থী শিমুল পারভেজের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি সম্পাদক পদপ্রার্থী রাজু আহমেদ, নির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী অন্তু মুজাহিদ, আবুল কালাম প্রমুখ।

