চট্টগ্রাম বন্দর থেকে প্রথমবারের মতো সড়কপথে ভুটানের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে একটি পণ্যবাহী কনটেইনার। বাংলাদেশ-ভুটান ট্রানজিট চুক্তির আওতায় পরীক্ষামূলক এ পরিবহনকে দুই দেশের বাণিজ্যসম্পর্ক জোরদারের পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক বাণিজ্যের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনএমসিটি) থেকে কনটেইনারটি বুড়িমারী স্থলবন্দরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে।
দুই দেশের ট্রানজিট চুক্তির প্রথম প্রয়োগ
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০২৩ সালে বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে স্বাক্ষরিত এগ্রিমেন্ট অন দ্য মুভমেন্ট অব ট্রাফিক-ইন-ট্রানজিট চুক্তি ও প্রটোকলের প্রথম বাস্তব প্রয়োগ এটি। প্রায় দুই মাস আগে ভুটানের আমদানি করা পণ্য নিয়ে ‘এমভি এইচআর হিরা’ নামের জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছায়। ৬ হাজার ৫৩০ কেজি ওজনের ওই চালানে ছিল শ্যাম্পু, শুকনো পাম ফল, আইস টি, চকলেট ও জুস।
জাহাজ থেকে নামানোর পর কনটেইনারটি এনএমসিটিতে রাখা হয়। কাস্টমস শুল্কায়নসহ বিভিন্ন দপ্তরের অনুমোদন পাওয়ার পর খালাস কার্যক্রম শুরু করে ভুটানের প্রতিনিধি প্রতিষ্ঠান মানুমা শিপিং লাইনস লিমিটেড।
‘ভাবমূর্তির সঙ্গে জড়িত এই চালান’
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার এইচ এম কবির বলেন, শুল্কায়ন ও ফি আদায়ের সব কার্যক্রম মঙ্গলবারই শেষ হয়েছে। এরপর শিপিং এজেন্টের বকেয়া পরিশোধের পর রাতেই এসকর্ট সুবিধাসহ কনটেইনারবাহী ট্রাকটি যাত্রা করে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ও সক্ষমতার সঙ্গে এ চালানটি সরাসরি জড়িত। তাই শুরু থেকেই আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করেছি।’
৬৮৪ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ভুটানে পৌঁছাবে
মানুমা শিপিং লাইনসের নির্বাহী পরিচালক ওমর শরীফ রাফসান বলেন, প্রায় ৬৮৪ কিলোমিটার সড়কপথ অতিক্রম করে ট্রাকটি প্রথমে বুড়িমারি স্থলবন্দরে যাবে। সেখান থেকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্ধা হয়ে শিলিগুড়ি পেরিয়ে ভুটানের ফুয়েন্টশোলিং পৌঁছাবে চালানটি।
তিনি আরও জানান, কাস্টমসের এসকর্ট টিম বুড়িমারি পর্যন্ত চালানটির নিরাপত্তা দেবে।
যা বলেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, ভুটানের ট্রানজিট পণ্যের প্রথম চালানটি সফলভাবে বন্দর থেকে ডেলিভারি দেওয়া হয়েছে।

