ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৫

সৌদিতে ওয়ার্ল্ড ট্রেড এক্সপো-২০২৫ এ বাংলাদেশের গৌরবময় অংশগ্রহণ

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৭, ২০২৫, ০৮:৫১ এএম
এবার ওয়ার্ল্ড ট্রেড এক্সপো-২০২৫-এ বাংলাদেশ থেকে ১২টি কোম্পানি অংশগ্রহণ করেছে। ছবি- সংগৃহীত

সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ট্রেড এক্সপো-২০২৫-এ বাংলাদেশ থেকে ১২টি কোম্পানি অংশগ্রহণ করেছে। জেদ্দা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ভাইস চেয়ারম্যান এমাদ মোহাম্মদ আল আবৌদ মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। মেলাটি ২৬ থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত জেদ্দা ইন্টারন্যাশনাল এক্সিবিশন অ্যান্ড কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

এই আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় সৌদি আরব, চীন ও জর্ডানসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন। বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এবং বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, জেদ্দার তত্ত্বাবধানে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ এ মেলায় অংশগ্রহণ করছে। মেলায় নিটওয়্যার, পাট ও বহুমুখী পাটজাত পণ্য, স্পোর্টসওয়্যার, হস্তশিল্পসহ বিভিন্ন রপ্তানিসম্ভাবনাময় পণ্য প্রদর্শন করা হচ্ছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, জেদ্দার কনসাল জেনারেল মো. সাখাওয়াত হোসেন ও কমার্শিয়াল কাউন্সেলর সৈয়দা নাহিদা হাবিবা।

এ ছাড়া বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক প্রতিনিধি, সৌদি ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরাও অনুষ্ঠানে অংশ নেন। চীনের লিয়াওনিং প্রদেশের গভর্নর ওয়াং জিয়ানও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমাদ মোহাম্মদ আল আবৌদ বলেন, এই মেলা সৌদি আরব ও বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী ব্যবসায়িক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করবে এবং নতুন অর্থনৈতিক সুযোগ সৃষ্টি করবে। আমরা আশা করি, বাংলাদেশের অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের পণ্য ও সেবা প্রদর্শনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।

কনসাল জেনারেল মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ওয়ার্ল্ড ট্রেড এক্সপো সৌদি আরবে বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোর জন্য ব্যবসায়িক সক্ষমতা প্রদর্শন, আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কিং ও পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম। বাংলাদেশের পণ্যের মান ও প্রতিযোগিতামূলক ব্যবসায়িক কৌশল বিশ্বব্যাপী আগ্রহ সৃষ্টি করবে বলে আমরা আশাবাদী।

সংশ্লিষ্টদের মতে, এই আন্তর্জাতিক মেলায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণ জাতীয় অর্থনীতির জন্য একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।