আজ ভোররাত ৩টা ২৯ থেকে বিকেল সোয়া ৪টা। মাত্র পৌনে ১৩ ঘণ্টার ব্যবধানে তিনবার কাঁপল দেশ। ১৩ ঘণ্টার ব্যবধানে পরপর তিনটি ভূমিকম্প অনুভূত হলো। যার ফলে, দেশজুড়ে জনগণের মধ্যে নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। স্বল্প সময়ে এমন ঘন ঘন কম্পন দেশের ভূতাত্ত্বিক স্থিতিশীলতা নিয়ে বাড়িয়েছে উদ্বেগ। যদিও কম্পনগুলোর মাত্রা ছিল মৃদু-মাঝারি, তবুও সাধারণ মানুষ আতঙ্কে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসে।
ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, গতকাল মধ্যরাত ৩টার পর থেকে আজ (বৃহস্পতিবার) বিকেল সোয়া ৪টার মধ্যে প্রায় ১৩ ঘণ্টার মধ্যে এই কম্পনগুলো অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে কম্পনগুলোর মাত্রা ছিল মাঝারি বা হালকা।
প্রথম ভূমিকম্পটি অনুভূত হয় গতকাল মধ্যরাতে। রাত ৩টা ২৯ মিনিটে টেকনাফ থেকে ১১৮ কিলোমিটার দূরে ৪ মাত্রার ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট এ ভূমিকম্পে কেঁপেছে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ শহর। ভূকম্পনবিষয়ক ওয়েবসাইট জানায়, টেকনাফে খুব অল্প ঝাঁকুনি হওয়ায় বেশির ভাগ মানুষ এটি টের পাননি। এটি মাটির ১০ কিলোমিটার গভীরে সংঘটিত হয়েছিল।
দ্বিতীয়টি ঠিক তার ১ মিনিট পর- রাত ৩টা ৩০ মিনিট ৪৯ সেকেন্ডে। সিলেটে এটি অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৪। এটি মৃদু ভূমিকম্প হওয়ায় অনেকেই টের পাননি। ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ভারতের মনিপুরে।
সর্বসাম্প্রতিকটি আজ (বৃহস্পতিবার) বিকেল ৪টা ১৫ মিনিটে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অনুভূত হয়। যার মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৬। ইউরোপিয়ান মেডিটেরিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টার (ইএমএসসি) জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা ১৫ মিনিট ৪৭ সেকেন্ডে এ কম্পন অনুভূত হয়। তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে, গত ২১ নভেম্বর সকালে ভূমিকম্পের তীব্র ঝাঁকুনিতে ঢাকাসহ সারাদেশ কেঁপে ওঠে। এ ঘটনায় শিশুসহ ১০ জন নিহত ও ছয় শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৭।


সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন