ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট সামনে রেখে প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রমে নতুন ধারা আনতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
দীর্ঘদিনের প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী তপশিল ঘোষণার আগে ইসি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে থাকে। তবে এবার সেই প্রথায় ভিন্নতা আনতে চায় কমিশন। রাষ্ট্রপতির আগে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বসার পরিকল্পনা করছে সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠান।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনের একজন কমিশনার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘সাধারণত রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেই তপশিল ঘোষণার প্রস্তুতি তুলে ধরি। তবে এবার আমরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে পূর্বেই বৈঠক করতে চাই। এতে নির্বাচনের সামগ্রিক প্রস্তুতি, চ্যালেঞ্জ ও করণীয় নিয়ে বিশদ আলোচনা করা যাবে।’
তিনি জানান, আগামী ১০ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের তারিখ নির্ধারিত রয়েছে, তবে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। আলোচনার পর্যায়ে থাকলেও দিনক্ষণ ঠিক হয়নি।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৭ ডিসেম্বর তপশিল ঘোষণার উদ্দেশ্যে কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হতে পারে। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১১ ডিসেম্বরের দিকেই নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করা হতে পারে। সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী এগোলে আসন্ন সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে আগামী ফেব্রুয়ারির ১২ তারিখের মধ্যে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনও সম্প্রতি বলেছেন, নির্ধারিত সময়েই তপশিল ঘোষণা হবে। তিনি জানান, গণভোট বিষয়ে এখনো তেমন প্রচার শুরু হয়নি। তবে সরকার ও নির্বাচন কমিশন যৌথভাবে বড় ধরনের প্রচার চালাবে।
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সিইসি বলেন, আগে কখনো পরিস্থিতি খুব ভালো ছিল না, তবে এখন আগের তুলনায় অনেক বেশি উন্নতি হয়েছে। পুলিশ, আনসার, বিজিবি, র্যাব ও সেনাবাহিনী সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পালন করছে। মাঝেমধ্যে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটলেও সামগ্রিক পরিস্থিতি আরও ভালো হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
মক ভোটিং প্রসঙ্গে সিইসি জানান, জনগণকে ভোটদানের প্রক্রিয়া সম্পর্কে ধারণা দিতে এবং দুই ব্যালটে কত সময় লাগে তা পর্যবেক্ষণ করতে এই আয়োজন করা হচ্ছে। গত ১৫ বছরে ভোটদানের প্রক্রিয়া সরাসরি দেখার সুযোগ জনগণের হয়নি বলেও তিনি উল্লেখ করেন।



সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন