এ ছাড়া পিলখানার ভেতরে হত্যাযজ্ঞে জড়িত বিডিআর সদস্যদের তৎকালীন সরকারের অবৈধ সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার বিরুদ্ধে কোনো ভূমিকাও নেননি জেনারেল মইন উ আহমেদ। সেনা অপারেশন পরিচালনার জন্য যে মুহূর্তে সেনাসদরে তার উপস্থিতি একান্তভাবে প্রয়োজন ছিল, সে মুহূর্তে তিনি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন যমুনায় গিয়ে সময়ক্ষেপণ করেন।
প্রতিবেদনে পিলখানা ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জেনারেল মইন উ আহমেদ যুক্ত থাকার পক্ষে যে ৭টি কারণ উল্লেখ করা হয়েছে তা হলো-
কমিশনের প্রতিবেদনে ৭ কারণে মইন উ আহমেদকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। কারণগুলো হলো :
১. ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে সমর্থন;
২. সেনা অভিযানের মাধ্যমে বিদ্রোহ দমনের শতভাগ নিশ্চয়তা থাকা সত্ত্বেও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অভিযান পরিচালনা না করা;
৩: হত্যা, লাশ গুম, নারী ও শিশু নির্যাতন, আলামত ধ্বংস, অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট, ব্যক্তিগত সম্পদ লুট, অপরাধীদের পলায়নে সহায়তা;
৪. সত্য গোপন;
৫. হত্যাকারীদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার বিরুদ্ধে কোনো ভূমিকা না রাখা;
৬. সেনাবাহিনীর মনোবলে আঘাত করা;
৭. ব্যক্তিগত সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য বিদেশি শক্তির অনুকম্পা প্রার্থনা করা। এ ছাড়া বিডিআর বিদ্রোহ দমনে উদ্যোগী, দেশপ্রেমী ও সাহসী সেনা অফিসারদের সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুতি, সাজা প্রদান এবং পদোন্নতিবঞ্চিত করা।

