ঢাকা সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫

পিলখানা হত্যাকাণ্ড

যে ৭ কারণে মইন উ আহমেদ দায়ী

বিশেষ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৮, ২০২৫, ১১:০১ এএম
ছবি- সংগৃহীত
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে গঠিত জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন গত ৩০ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। প্রতিবেদনে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রের সঙ্গে ৭ কারণে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল মইন উ আহমেদ যুক্ত ছিলেন বলে দাবি করা হয়েছে। বলা হয়েছে, তৎকালীন সেনাপ্রধান হিসেবে জেনারেল মইন উ আহমেদের অন্যতম দায়িত্ব ছিল সেনাবাহিনীর প্রতিটি অফিসার ও সৈনিককে নিরাপত্তা প্রদান করা। অফিসারদের প্রাণরক্ষায় পিলখানায় সেনা অভিযান না চালিয়ে ৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেডকে প্রায় দুই মাইল পেছনে আবাহনী মাঠে অবস্থান করার নির্দেশ দিয়েছিলেন জেনারেল মইন উ আহমেদ।

এ ছাড়া পিলখানার ভেতরে হত্যাযজ্ঞে জড়িত বিডিআর সদস্যদের তৎকালীন সরকারের অবৈধ সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার বিরুদ্ধে কোনো ভূমিকাও নেননি জেনারেল মইন উ আহমেদ। সেনা অপারেশন পরিচালনার জন্য যে মুহূর্তে সেনাসদরে তার উপস্থিতি একান্তভাবে প্রয়োজন ছিল, সে মুহূর্তে তিনি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন যমুনায় গিয়ে সময়ক্ষেপণ করেন।

প্রতিবেদনে পিলখানা ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জেনারেল মইন উ আহমেদ যুক্ত থাকার পক্ষে যে ৭টি কারণ উল্লেখ করা হয়েছে তা হলো-

কমিশনের প্রতিবেদনে ৭ কারণে মইন উ আহমেদকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। কারণগুলো হলো :

১. ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে সমর্থন;

২. সেনা অভিযানের মাধ্যমে বিদ্রোহ দমনের শতভাগ নিশ্চয়তা থাকা সত্ত্বেও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অভিযান পরিচালনা না করা;

৩: হত্যা, লাশ গুম, নারী ও শিশু নির্যাতন, আলামত ধ্বংস, অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট, ব্যক্তিগত সম্পদ লুট, অপরাধীদের পলায়নে সহায়তা;

৪. সত্য গোপন;

৫. হত্যাকারীদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার বিরুদ্ধে কোনো ভূমিকা না রাখা;

৬. সেনাবাহিনীর মনোবলে আঘাত করা;

৭. ব্যক্তিগত সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য বিদেশি শক্তির অনুকম্পা প্রার্থনা করা। এ ছাড়া বিডিআর বিদ্রোহ দমনে উদ্যোগী, দেশপ্রেমী ও সাহসী সেনা অফিসারদের সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুতি, সাজা প্রদান এবং পদোন্নতিবঞ্চিত করা।