ঢাকা সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫

ভারত থেকে দেড় হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৮, ২০২৫, ১১:৪৪ এএম
এক সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ১৫০ টাকা ছাড়িয়ে যায়। ছবি- সংগৃহীত

পেঁয়াজের বাজার সহনীয় রাখতে ভারত থেকে ১ হাজার ৫০০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার।

রোববার (৭ ডিসেম্বর) কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) এ অনুমতি দেয়।

ডিএই সূত্র জানায়, মোট ৫০ জন আমদানিকারককে এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে শর্ত হিসেবে কোনো আমদানিকারক ৩০ টনের বেশি পেঁয়াজ আমদানি করতে পারবেন না এবং একজন আমদানিকারক একবারের বেশি আবেদন করতে পারবেন না। জারি করা আমদানি অনুমতির (আইপি) মেয়াদ থাকবে ২০২৬ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত।

এর আগে শনিবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল রাখতে রোববার থেকে সীমিত আকারে আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রতিদিন ৫০টি করে আইপি ইস্যু করা হবে এবং প্রতিটি আইপিতে সর্বোচ্চ ৩০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন থাকবে।

এক সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ১৫০ টাকা ছাড়িয়ে।

বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি) এক বছর আগে পেঁয়াজ আমদানিতে ভারতের ওপর নির্ভর না করে বিকল্প উৎস খোঁজার জন্য সরকারকে পরামর্শ দিয়েছিল। উৎসগুলো হচ্ছে পাকিস্তান, তুরস্ক, মিসর, চীন ও মিয়ানমার। বাংলাদেশ এত বছর ভারতের পাশাপাশি মিয়ানমার থেকেও পেঁয়াজ আমদানি করে আসছিল। এ ছাড়া চীন ও তুরস্ক থেকেও পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছিল, তবে তা পরিমাণে কম।

এদিকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দেশে পেঁয়াজ উৎপাদন বাড়ছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৩৪ লাখ ১৭ হাজার টন, ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ৩৭ লাখ ৯০ হাজার টন, ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে ৪২ লাখ ৫০ হাজার টন এবং ২০২৫-২৬ অর্থবছর শেষ না হতেই ৪২ লাখ ৬৪ হাজার টন পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়েছে। দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা ২৫ থেকে ৩০ লাখ টন। মোট উৎপাদিত পেঁয়াজের কিছু থাকে বীজের জন্য, কিছু পচে যায়। ফলে মৌসুম শেষে সরবরাহে একটু টান পড়ে।